RG Kar Protest: পুজোর সময় আরজি কর আন্দোলন নয়,ঘোষণা সুকান্তর, বামেরা রাস্তায়, উৎসবে ফিরছে বিজেপি?

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ গোটা দেশ জুড়েই। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও এই প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের মতো করে আন্দোলনে নেমেছিল।  তবে এবার বিজেপির তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আপাতত দুর্গাপুজোর সময় এই আন্দোলন কিছুটা স্থগিত রাখা হবে। 

এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পুজোর পরে ফের আন্দোলন শুরু হবে। সেই সঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পদত্যাগ করা না পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে। দুর্গাপুজোর সময় আমরা কোনও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করব না। দুর্গাপুজোর পরে ফের আমরা রাস্তায় নামব। আমরা নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করব। মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করা না পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চলতে থাকবে। 

এদিকে ইতিমধ্যে বাম ছাত্রযুবদের কর্মসূচির পক্ষ থেকে একের পর এক কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্য়েই রাস্তায় বের হন বাম ছাত্র যুবরা। দীর্ঘ মিছিল কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। বিজেপি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি থেকে আপাতত সরে আসার কথা ঘোষণা করলেও বামফ্রন্ট কিন্তু এখনই রাস্তা ছাড়তে রাজি নয়। 

 এদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্য়েই সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে। ইডি সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। 

এদিকে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল টালা থানার তৎকালীন ওসিকে। আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল অভিজিৎ মণ্ডলকে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি শিয়ালদা আদালত থেকে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর জেরে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। 

বুধবার আরজি কর মামলার শুনানি ছিল। এই আবহে শিয়ালদা কোর্টে হাজির করানো হয়েছিল অভিজিৎকে। এরপর শুনানি শেষে আদালত থেকে জেলে ফেরার জন্য যখন তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠছিলেন, সেই সময় তিনি টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান বলে খবর।এরপর অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানান অভিজিৎ। এরপই তাঁকে দ্রুত প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত গ্রেফতার হওয়ার আগেও তিনি একাধিক হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনও হাসপাতালই সেই সময় ভর্তি নেয়নি।