৩০০ ফুট গভীর খাদে পড়ল গাড়ি, আইফোনের স্বয়ংক্রিয় মেসেজে বাঁচল প্রাণ

iPhone 14-এর সঙ্গে 13-এর সেরকম আহামরি পার্থক্য ছিল না। খালি একটি নতুন SOS ফিচার যোগ করেছিল অ্যাপেল। তাই নিয়ে প্রযুক্তি মহলে খুব বেশি আলোচনাও হয়নি। কিন্তু এই উপেক্ষিত ফিচারটিই কারও প্রাণ রক্ষা করতে পারে। হাতেনাতে মিলল সেই প্রমাণ। ক্যালিফোর্নিয়ায় গভীর খাদে পড়ে যাওয়া দুই ব্যক্তির জীবন বাঁচাল আইফোন ১৪-র এই বিশেষ ফিচার।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাঞ্জেলস ফরেস্ট হাইওয়ের দুর্ঘটনা। রাস্তার ধারের খাদ দিয়ে প্রায় ৩০০ ফুট গড়াতে গড়াতে নেমে যায় একটি গাড়ি। এদিকে আইফোন ১৪-এর SOS ফিচারের মাধ্যমে গাড়ি ক্র্যাশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিটেক্ট হয়ে যায়। গাড়ির এক যাত্রীর কাছে সেই ফোন ছিল। সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ পরিস্থিতি বুঝে যায় আইফোনের সেন্সর। আরও পড়ুন: ‘পুরো লটারি!’, Flipkart-এ iPhone 13 অর্ডার দিয়ে iPhone 14 পেলেন ব্যক্তি!

কিন্তু সেই সময়ে কোনও নেটওয়ার্ক সংযোগ ছিল না। তাতেই সমস্যা নেই। স্যাটেলাইট টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে অ্যাপেলের রিলে সেন্টারের কাছে আপদকালীন পরিস্থিতির বার্তা পৌঁছে যায়।

রিলে সেন্টারের কর্মী তা দেখেই সঙ্গে সঙ্গে LA কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর মন্ট্রোজ রিসার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিমের কাছে খবর পাঠায় লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ। তাঁরা অল্প সময়ের মধ্যেই দুই ব্যাক্তির অবস্থান খুঁজে বের করে ফেলেন। এরপর তাদের হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। দু’জনেই সৌভাগ্যবশত সেভাবে আহত হননি।

অ্যাপেলের ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাণরক্ষার নজির এই প্রথম নয়। চলতি মাসের শুরুতে, এক ব্যক্তি নুরভিক থেকে আলাস্কার কোটজেবুতে যাচ্ছিছিলেন। সেই সময়ে প্রত্যন্ত এক স্থানে, অত্যন্ত ঠান্ডায়, বরফে আটকে পড়েছিলেন। তিনি এরপর আইফোন 14-এর স্যাটেলাইট ফিচারের মাধ্যমে SOS অ্যাকটিভেট করেন। সঙ্গে সঙ্গে রিলে সেন্টারে খবর চলে যায়। তারপর সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারী বাহিনী ওই ব্যক্তির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে খুঁজে পান।

শুধু আইফোনই নয়। এর আগে অ্যাপেল ওয়াচের মাধ্যমে প্রাণ রক্ষা হয়েছে। গত অক্টোবরে ইন্ডিয়ানাপলিসের এক ব্যক্তির গাড়ি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। সেই সময়ে তিনি অ্যাপেল ওয়াচ পরে ছিলেন। ঘড়ির ক্র্যাশ ডিটেকশন ফিচারের মাধ্যমে নোটিফিকেশন চলে যায়। আরও পড়ুন: তৈরি হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় আইফোন কারখানা, কাজ পাবেন ৬০,০০০ জন

তার আগে এর ভয়ানক ঘটনায় ওয়াশিংটনের ৪২ বছর বয়সী এক মহিলাকে ছুরি দিয়ে কোপান তাঁর প্রাক্তন স্বামী। এরপর জীবন্ত অবস্থাতেই তাঁকে কবর দিয়ে দেন। সেই সময়েও অ্যাপেল ওয়াচের দৌলতে পুলিশকে খবর দেন ওই মহিলা।