স্কুলে ধর্মগ্রন্থ পড়ানোর সুপারিশ করল সংসদের স্থায়ী কমিটি

জাতীয় শিক্ষাক্রমের একাধিক বিষয়বস্তুতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি, এমনটাই জানাল লোকসভার শিক্ষাবিষয়ক স্থায়ী কমিটি। ভারতের বিভিন্ন ধর্মের বৈচিত্র্যকে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়াও ভারতের অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক উথ্থানের ইতিহাসও পাঠ্যক্রমে রাখার সুপারিশ করে এই বিশেষ কমিটি। সংসদের এই স্থায়ী কমিটি মূলত শিক্ষা, মহিলা, শিশু, ক্রীড়া ও যুব উন্নয়নের দিকগুলি পর্যালোচনা করে। কমিটির শীর্ষে রয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য বিবেক ঠাকুর। সোমবার এই বিশেষ কমিটি লোকসভায় তাদের ৩৩১তম রিপোর্ট পেশ করে। সেখানেই এমন বেশ কিছু সুপারিশের কথা তুলে ধরা হয়।

প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিআরটি) শিক্ষাক্রমে সংশোধন আনার পরে পরেই এই সুপারিশ পেশ করা হল। কমিটি জানায়, বেশ কিছু পাঠ্যক্রমে দেশের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের কথা যথার্থভাবে নেই। রিপোর্ট প্রস্তুতির সময় প্যানেলের পর্যবেক্ষণে সেটি ধরা পড়েছিল। এদিনের সুপারিশে সে কথাও উঠে আসে। সুপারিশে জানানো হয়, নানা ক্ষেত্রে স্বাধীনতা সংগ্রামের যোদ্ধাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন সংশোধিত শিক্ষাক্রমে এমন দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পরামর্শ দেয় বিবেক ঠাকুরের কমিটি। পাশাপাশি, স্বাধীনতালাভের জন্য শিখ ও মারাঠাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক গোষ্ঠীর লড়াইকেও গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরার কথা বলা হয়।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে বেদ ও ভাগবত গীতা রয়েছে। মন্ত্রকের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরে জানানো হয় কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে, ভারতের বিভিন্ন ধর্মের বৈচিত্র্যকে শিক্ষাক্রমে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এর জন্য বিভিন্ন ধর্মের প্রাচীন গ্রন্থগুলিকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এছাড়াও ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে দেশের নানা অঞ্চলের স্থানীয় ব্যক্তিত্ব ও তাঁদের অবদানের কথা অন্তর্ভুক্তিতে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নানা সময়ে দেশের জন্য নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও তুলে ধরার সুপারিশ করেছে সংসদের স্থায়ী কমিটি।

শিক্ষামন্ত্রকের তরফে এদিন এই সুপারিশ মেনে নেওয়া হয়। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, পরবর্তী জাতীয় শিক্ষাক্রম সংশোধনে এই বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর জন্য শিক্ষাক্রম তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের জরুরি বৈঠকও ডাকা হতে পারে।