Cancer cure: শুধু করোনা নয়, ইমিউনিটি পারবে ক্যানসারও আটকাতে! নতুন কোষ তৈরি বিজ্ঞানীদের

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সাহায্যেই এবার লড়াই করা যাবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যানসার চিকিৎসায় সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ একটি বিশেষ কোষ কৃত্রিমভাবে শরীরে প্রবেশ করানোর পর সেটি ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করছে। এর ফলে কোষগুলি মরে যাচ্ছে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাহায্য নিয়ে এমন সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

কীভাবে সম্ভব হল ক্যানসার কোষ ধবংস?

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞানীরা প্রথমে একটি বিশেষ টি কোষ তৈরি করেন। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই কোষকে সার-টি (কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর-টি) কোষ বলা হয়। এই কোষটি শরীরে প্রবেশের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ সাধারণ টি কোষকে উত্তেজিত করে তোলে। এৎ ফলে টি কোষটি শরীরের বিভিন্ন অংশে গিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত কোষকে খুঁজে বার করে। এরপরেই ক্যানসার কোষকে সরাসরি ধবংস করে এই টি কোষ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, একে ইমিইউনোথেরাপি বলা হয়। তবে সবরকম ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে এই পদ্ধতি সমানভাবে কার্যকরী নয়। দেখা গিয়েছে, কিছু নির্দিষ্ট ক্যানসারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজ করছে।তাছাড়া, সব রোগীর জন্য সমানভাবে কার্যকরী নাও হতে পারে এই চিকিৎসা। তবুও এই সাফল্য ক্যানসার চিকিৎসার পথে বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

কীভাবে কাজ করছে সার-টি কোষ?

সার-টি কোষ শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত টি কোষের প্রোটিনকে জাগিয়ে তোলে। এরপর টি কোষই খুঁজে বার করে ক্যানসার কোষের প্রোটিনকে। সেই প্রোটিনকে ধ্বংস করতে পারলেই ক্যানসার কোষের মৃত্যু হয়।

টি কোষ কী?

হাড়ের মজ্জায় থাকা স্টেম কোষ থেকে উৎপন্ন হয় টি কোষ। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এটি একধরনের রক্ত কোষ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অংশ। এই কোষের কাজ অনেকটা পুলিশের মতো। এটি সারা শরীরে রক্তের মাধ্যমে টহল দেয়। শরীরের কোনও অংশে ক্ষত বা সংক্রমণ হলে এই কোষ সেখানে পৌঁছে যায়। গিয়েই কোষে থাকা ক্ষতিকর প্রোটিন চিনে নেয়। এরপর সরাসরি কোষটিকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে ফেলে। এই পদ্ধতিতেই নষ্ট হয় ক্যানসার কোষ।