Rahul Gandhi: করোনা ইস্যুতে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ বন্ধের আর্জি কেবল ‘বাহানা’! সরব রাহুল গান্ধী

ক্রমেই করোনা পরিস্থিতি ঘিরে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে সতর্কতার পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, যাতে সমস্ত রাজ্যগুলি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে পারে। এরই মাঝে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলছে। সেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ যাতে বন্ধ করা হয় তার জন্য রাহুল গান্ধীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।

উল্লেখ্য, এই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু হয়েছিল গত ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারীতে। আর তা শেষ হওয়ার কথা কথা কাশ্মীরে। তবে কংগ্রেসের এই মেগা কর্মসূচির মাঝে দেশ জুড়ে করোনা ঘিরে বেশ খানিকটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে ওমিক্রনের নয়া সাবভ্যারিয়েন্ট বিএফসেভেন ঘিরে। বর্তমানে এই যাত্রা রয়েছে হরিয়ানায়। এর আগে দক্ষিণ ভারতে এই যাত্রা শেষ করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মাটি পেরিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর নেতৃত্বেই চলেছে এই যাত্রা। এদিকে , তার মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের চিঠি যায় রাহুল গান্ধীর কাছে। সেই চিঠি প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলছেন, ‘ এই যাত্রা কাশ্মীরে যাবে। আর এখন ওঁদের (কেন্দ্রের) নতুন একটা আইডিয়া এসেছে। তাঁরা আমায় চিঠি লিখেছেন, কোভিড ছড়াচ্ছে এই যাত্রা বন্ধ করুন।’ এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে জানান, কোভিড বিধি না মানা হলে এই যাত্রা বন্ধ করতে হবে। এই চিঠি মনসুখ মাণ্ডব্য রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটকেও লেখেন। রাহুল বলেন, ‘যাত্রা বন্ধ করার নতুন নতুন বাহানা নিয়ে তাঁরা আসছেন। মাস্ক পরো, যাত্রা বন্ধ করো, কোভিড ছড়াচ্ছে .. এগুলি বাহানা।’

এদিকে মোদী সরকারের তরফে এমন এক বার্তা আসার পর রাহুল গান্ধীর বার্তা, কেন্দ্র সরকার ভয় পেয়েছে ভারত জোড়ো যাত্রা ঘিরে। তাই এমন পদক্ষেপ করছে বলে মত তাঁর। রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এটাই ভারতের শক্তি, ভারতের সত্যিটা দেখে এই লোকজন ভয় পেয়ে গিয়েছেন। ’ তাঁর দাবি, সংসদেও বিভিন্নভাবে আটকানোর চেষ্টা করা হয় কংগ্রেসের কণ্ঠকে। রাহুল বলেন, ‘যদি আমরা কিছু বলতে যাই সংসদে রাফালে নিয়ে, জিএসটি নিয়ে, নোট বাতিল নিয়ে, দেশে ছড়িয়ে পড়া হিংসা নিয়ে… তাহলে জানেন কী হয়… মাইক্রোফোন সুইচ অফ করে দেওয়া হয়। ’ রাহুলের দাবি তখনই টিভি ক্যামেরার দিক ঘুরিয়ে দেওয়া হয় আর স্পিকারের মুখ দেখিয়ে দেওয়া হয় সংসদে।