Viral Post: সন্তানদের পেট চালাতে চেয়েছিলেন ৫০০ টাকা, নেটিজেনরা এগিয়ে দিলেন ৫১ লাখ

বাড়িতে চারটে পেট। তিন শিশু সমেত এক মহিলা স্বামীকে হারিয়েছেন চারমাস আগে। এই অবস্থায় ভাঁড়ার শূন্য হলে হাত পাতা ছাড়া উপায়ই বা কী। খুদে তিনটে পেটের খিদে মেটাতে ছেলের শিক্ষিকার কাছে লজ্জার মাথা খেয়েই ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন সুভদ্রা।‌ কিন্তু শিক্ষিকা গিরিজা হরিকুমার ও নেটিজেনদের সহৃদয় উদ্যোগে আর অনেকটাই নিশ্চিন্ত হলেন সুভদ্রা।

কেরালার পালাক্কারের এই পরিবারের দৃশ্য কিছুদিন আগে গিরিজার পোস্ট মারফত নেটিজেনদের‌ টাইমলাইনে আসে। দুদিনের মধ্যেই গিরিজার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। ক্রাউডফান্ডিং-এর মাধ্যমে উঠে আসে ৫১ লাখ টাকা।

বাড়িতে তিন সন্তান নিয়ে সংসার সুভদ্রার। তার মধ্যে একজন আবার সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত‌। চারমাস আগে অগাস্ট মাসে স্বামীকে হারানোর পর হাতে সম্বল বলতে কিছুই ছিল না।‌ একটি বাড়ি অর্ধেক বানিয়ে রেখেই চলে যান স্বামী। কোনওরকমে চারটে মাস কাটানো গেলেও আর দিন চলছিল না। শেষ পর্যন্ত ছেলে অভিষেকের শিক্ষকের কাছেই সাহায্যের আশা নিয়ে গিয়েছিলেন সুভদ্রা। পাঁচশো টাকা চেয়েছিলেন সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য। গিরিজা এমন আবেদন শুনে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। তারপর ছাত্রের বাড়ি গিয়ে দেখেন রান্নাঘরে একমুঠো খাবার ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। হাতে ১০০০ টাকা দিয়ে সুভদ্রাকে জানান, তাদের জন্য একটা সাহায্যের ব্যবস্থা করবেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুভদ্রার কথা জানাজানি হতেই এগিয়ে আসেন অসংখ্য সহৃদয় নেটিজেন। এরপরেই ৫১ লাখ টাকা উঠে আসে ক্রাউডফান্ডিংয়ে।

এমন অভূতপূর্ব সাড়া পেয়ে স্বাভাবিকভাবে বাকরুদ্ধ সুভদ্রা ও গিরিজা। পরের পোস্টে শিক্ষিকা গিরিজা জানান, দুটো উদ্দেশ্যে এই অর্থ সংগ্ৰহ করা। এক, যাতে সুভদ্রাকে কখনও কারও কাছে হাত পাততে না হয়, দুই, তাঁর স্বামীর অর্ধেক বানানো বাড়িটি সে পুরো বানাতে পারে। সংগৃহীত অর্থ এবার সে কাজেই ব্যয় হবে বলে জানান গিরিজা। কিছু টাকা বাড়ি বানানোর কাজে রেখে বাকি টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে রাখা হয়। জানা যায়, এই টাকাতেই আগামী দিনে চারজনের সংসার কিছুটা নিশ্চিন্তে চলবে।