Rape: নাবালিকাকে গণধর্ষণ, হাত পা বেঁধে ফেলে দিল কুয়োতে, যোগীরাজ্যে ভয়াবহ ঘটনা

১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর তাকে একটি নলকূপের মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের মউ জেলার ঘটনা।যোগী রাজ্য়ের এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল গোটা দেশজুড়ে। নাবালিকাকে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ। তবে আশার কথা একটাই পুলিশ কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারের এই ঘটনায় দুজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে পুরোদমে। ওই কিশোরী আবর্জনা ফেলার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময়ই আচমকা তাকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপর তাকে নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে সেখানেই গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর তার হাত বেঁধে, মুখে কাপড় গুজে একটি নলকূপের মধ্য়ে ফেলে দেওয়া হয়। যাতে সে চিৎকার করতে না পারে সেকারণে এভাবে হাত বেঁধে তাকে ফেলে দেওয়া হয়।

তবে পরে ওই কিশোরীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার বাবা এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তদন্তে নেমে পড়ে। এরপরই দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বাকি একজনকে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের টিম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ত্রিভূবন নাথ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একটি কৃষি জমির মধ্যে কুয়োটি ছিল। তার মধ্যেই ওই কিশোরীকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। অগভীর নলকূপ থাকায় সে কোনওরকমে বেঁচে যায়। তার বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় ঘটনাটি। তার ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি হাসপাতালে কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী অভিযুক্তদের সঙ্গে পুলিশ বোঝাপড়া করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা মানা যায় না। নারীদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। মেয়েটির হাত পা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। মুখে কাপড় গুজে দেওয়া হয়েছিল। আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারত। তবে পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত চলছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অত্য়ন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। গোপন ডেরা থেকে দুজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।