Birbhum: বাড়ি থেকে উদ্ধার যুবতীর দেহ, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত তৃণমূল নেতা

বীরভূমের দুবরাজপুরে যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনায় তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তৃণমূল নেতার নাম হল অভিনিবেশ রায়। ধৃত তৃণমূল নেতা দুবরাজপুরের হেতমপুরের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। মৃত যুবতীর নাম সোহিনী সূত্রধর। তাঁর পরিবার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন। তার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, সোহিনী তৃণমূলের আইটি সেলের কর্মী ছিলেন। রবিবার দুপুরে দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকা থেকে সোহিনীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, সোহিনী তৃণমূল সেলের কর্মীর পাশাপাশি ছাত্র পরিষদের নেত্রী ছিলেন। পরিবারের দাবি, সোহিনীর সঙ্গে অভিনিবেশের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোহিনী তাঁকে বিয়ে করতে চাইলেও তাতে রাজি হয়নি অভিনিবেশ। সেই কারণে অভিনিবেশের বিরুদ্ধে থানায় আত্মহত্যার অভিযোগ দায়ের করে সোহিনীর বাবা। তিনি জানান, রবিবার দুপুরে দোতালায় ঘুমিয়ে ছিলেন সোহিনী। সেই সময় তাঁর এক বন্ধু আসে। তার ওই বন্ধু ঘরে যেতে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ রয়েছে। অনেক ডাকাডাকি পরেও কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ঘরের দরজা ভাঙতেই দেখেন ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে সোহিনীর দেহ।

পরে পুলিশ এসে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় অভিনিবেশের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। পুলিশ হেতমপুর গ্রামে গোপন জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। আজ তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। যদিও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতার পরিবার। এই ঘটনার পরে যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে এ নিয়ে অবশ্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি।