‘কাশ্মীরে যেতে পারেন,’ রাজ্যপালকে নিশানা ডিএমকের, পালটা দিলেন ওমর আবদুল্লাহ

DMK নেতা শিবাজি কৃষ্ণমূর্তি তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন, কাশ্মীরে যেতে পারেন। পারস্পরিক মনোমালিন্য়ের জেরেই এই মন্তব্য় করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এই মন্তব্য ডিএমকের থেকে প্রত্যাশা করিনি।

টুইটারে কৃষ্ণমূর্তির এই মন্তব্যকে ওমর আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এটা তো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দলকে তিনি বন্ধু হিসাবেই উল্লেখ করেছেন।

টুইট করে তিনি লিখেছেন, কাশ্মীরে যেতে পারেন, ডিএমকের বন্ধুদের কাছে আমরা এই হুমকি প্রত্যাশা করিনি। এর সঙ্গেই তিনি সাংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের অংশ তুলে ধরেছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিএমকে নেতা তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে নিশানা করে বলেছিলেন, সরকারের দেওয়া বক্তব্য তিনি যদি পড়তে না পারেন তবে আরএন রবি কাশ্মীরে চলে যেতে পারেন।

 

এদিকে শুক্রবার একটি জমায়েতে এই মন্তব্য করেছিলেন কৃষ্ণমূর্তি। রাজ্যপালকে নিশানা করে তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। একেবারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি সভায় বলেছিলেন,যদি আপনি( রাজ্য়পাল) তামিল নাড়ু সরকারের দেওয়া বক্তব্য বলতে না চান তবে কাশ্মীরে চলে যান। আমরা জঙ্গিদের পাঠিয়ে দেব। তারা আপনাকে গুলি করে দেবে।…বিস্ফোরক মন্তব্য ডিএমকে নেতার।

তবে কাশ্মীরকে এভাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ডিএমকে নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়েই এবার ডিএমকে নেতাকে টুইটারের মাধ্যমে বিঁধেছেন কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে বিরোধী বিজেপি ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে নানা ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে ডিএমকে পরিচালিত তামিলনাড়ু সরকারের সঙ্গে সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। তাঁকে অপসারনের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিল ডিএমকে। তামিলনাড়ুর সেকুলার প্রোগ্রেসিভ জোটের এমপিরা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলন এব্যাপারে। তাঁদের দাবি রাজ্যপাল আরএন রবিকে পদ থেকে সরাতে হবে। কারণ তিনি সাম্প্রদায়িক মতামত দিচ্ছেন। তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করছেন না। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পদে বসেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০টি বিল তিনি পাস করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেননি। দাবি ডিএমকের।

পাঁচ পাতার ওই স্মারকলিপিতে লেখা হয়েছিল, রাজ্যপাল তাঁর পদের অমর্যাদা করছেন। তিনি ভয়ানক উসকানিমূলক মন্তব্য করছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য় তিনি এসব করছেন।

ওই স্মারকলিপিতে লেখা হয়েছিল, রাজ্যপাল সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছেন রাজ্যে। এতে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি এই পদের পক্ষে অযোগ্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তার জেরে রাজ্যপালকে এই পদ থেকে সরানোর দাবি করা হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে।