B‌JP Report: বঙ্গ–বিজেপিতে ভাঙন কেন?‌ সুমনের ফুলবদলে রিপোর্ট তলব করল শীর্ষ নেতৃত্ব

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে হাড়হিম করা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কারণ একের পর এক গেরুয়া বিধায়কের উইকেট পতন। রবিবারই উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সুমন কাঞ্জিলালকে নিয়ে মোট ছয় বিধায়ক ‘সিঙ্গল ফুল’ ছেড়ে ‘জোড়া ফুল’ ধরলেন। একুশের নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জয় পেলেও এখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬৯। এবার কেন এই ভাঙন?‌ সেটা জানতে চেয়ে বঙ্গ–বিজেপির রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

এই দলবদলের পরেই বঙ্গ–বিজেপির পিলার নড়ে গিয়েছে। তাই রাজ্য পার্টির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, এতে দলে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না। আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে সুমনবাবুকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে মানুষের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এসব কথা বললেও পরিষদীয় পরিসরে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে পদ্মপার্টি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দল ছেড়ে যাওয়া বিধায়কদের দাবি, তাঁদের প্রকৃত সম্মান দেওয়া হয় না। হাতে গোনা কিছু বিধায়ক, যাঁরা পার্টির বেশকিছু সংগঠনিক পদে রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সেখানে বিরোধী দলনেতা তাঁদের নিয়েই মেতে থাকেন। সুমন কাঞ্জিলালের দল ছাড়ার কারণ এটাই।

এদিকে শুভেন্দুর টুইটের পাল্টা টুইট করে তাঁকে ধুয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, ‘‌সুমন কাঞ্জিলালকে মানুষের দরবারে জবাব দেওয়ার কথা বলার আগে, আপনি নিজের ঘরের দিকে তাকান। নিজের বাবা আর ভাইকে দেখুন। স্বীকার করে নিন যে বিজেপির উপর নিজেদের দলের বিধায়কদেরই কোনও ভরসা নেই।’‌ পাল্টা শুভেন্দুকেও বিশ্বাসঘাতক বলে তুলোধনা করেছেন কুণাল।

অন্যদিকে, খড়্গপুর (সদর) বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের দলবদল ঘিরে বহুদিন ধরে জল্পনা চলছে। আসলে প্রদীপের তলায় ঘন অন্ধকার। বিজেপির পরিষদীয় পরিসরে এই অব্যবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই লোকসভার আগে পতাকা বদল করবেন বলে দাবি সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের। এই নিয়ে এবার রিপোর্ট তলব করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তাতে আরও চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। সাতদিনের মধ্যে এই দলবদলের রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আদি বিজেপি নেতা বলেন, ‘‌এই ফুল বদলের একমাত্র কারণ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অত্যাচারে এবং ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে দল ছাড়ছেন সবাই। এই সংখ্যা আরও নামবে। তার আগে ওকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। না হলে অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে।’‌