জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। কম্পন অনুভূত হয়েছে লেবানন, সিরিয়া, সাইপ্রাসের মতো দেশেও। মার্কিন জিয়োলজিক্যাল সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, সেই জোরালো ভূমিকম্পের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের একাধিক শহরে কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৪ টে ১৭ মিনিটে (স্থানীয় সময়) কেঁপে ওঠে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক। ভূপৃষ্ঠের ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। তার ১৫ মিনিট পরে ওই এলাকায় আরও একটি জোরালো ভূমিকম্প (আফটার শক) হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন জিয়োলজিক্যাল সার্ভিস। মার্কিন সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রথমবার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। তারপর ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৭-তে পৌঁছে যায়। তবে তুরস্কের সরকারি বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪।
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর তথা প্রাদেশিক রাজধানী গাজিয়াতেপে ভূমিকম্প হয়েছে। যা সিরিয়া সীমান্তের কাছে অবস্থিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কম্পন অনুভূত হচ্ছে দোকান, বাড়িতে। আবার কয়েকটি ভিডিয়োয় একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে। যে ভিডিয়ো দেখে মনে হবে যে কাগজের মতো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে ওই বাড়িগুলি। তারইমধ্যে চলছে উদ্ধারকাজ।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের ওসমানিয়া প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন যে ভূমিকম্পের জেরে প্রাথমিকভাবে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ভেঙে পড়েছে কমপক্ষে ৩৪ টি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রচুর মানুষ আটকে থাকতে পারেন বলেন আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, এমন সময় ভূমিকম্প হয়েছে যে অধিকাংশ মানুষ ঘুমোচ্ছিলেন। ফলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Earthquake in Nepal, tremor in Delhi: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, বেশি দূরে নয় যোশীমঠ, জোরালো কম্পন দিল্লি-উত্তরপ্রদেশে
কম্পন একাধিক আরব দেশেও
কম্পন অনুভূত হয়েছে লেবানন, সাইপ্রাস এবং সিরিয়ার মতো দেশেও। সংবাদসংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিরিয়ায় বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলেছে। উল্লেখ্য, তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। ১৯৯৯ সালের তুরস্কে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, সেটার মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৭.৪। সেই ঘটনায় ১৭,০০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। শুধু ইস্তানবুলেই ১,০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)