নতুন বই ছাড়াই বইমেলায় ঢাবি ও জবি

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩। মেলায় এ বছরও স্টল বরাদ্দ পেয়েছে দেশের শীর্ষ দুই বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

তবে মেলায় স্টল পেলেও নতুন কোনও বই নেই প্রতিষ্ঠান দুটির। গত বছর মেলায়ও একই চিত্র ছিল প্রতিষ্ঠান দুটির।

বই না থাকার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন প্রেসের বাধা, মানসম্মত বই প্রকাশে সময় সাপেক্ষতাকে। তবে বিগত ৬ বছরের তথ্য ঘেটে দেখা যায় প্রতিষ্ঠান দুটির বই প্রকাশের সংখ্যা হতাশাজনক। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ঢাবির প্রকাশনা সংস্থার নতুন বইয়ের সংখ্যা মাত্র ১২ এবং জবির ২৪টি।

ঢাবির প্রকাশনা সংস্থার ও জবির প্রকাশনা দফতরের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ সালে ঢাবির প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শূন্য এবং জবির ৫টি। ২০১৮ সালে ঢাবির বই সংখ্যা ছিল ২টি, জবির ৫টি। ২০১৯ সালে বই সংখ্যা ছিল দুই প্রতিষ্ঠানের সমান ৩টি। ২০২০ সালে যথাক্রমে ঢাবি ও জবির বই সংখ্যা ছিল ২ ও ৮টি। ২০২১ সালে বইয়ের সংখ্যা ছিল ঢাবির ৫টি ও জবির ৩টি। ১৯৫৭-২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা মোট ১৮৪টি বই প্রকাশ করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, ‘এ বছরের বইমেলায় আমাদের স্টলে নতুন চারটি বই তোলা যেত। এই বইগুলোর সবকিছু রেডি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এগুলো করে দিচ্ছে না। এখানে বই প্রকাশে অনেক লম্বা প্রসেস মেইনটেইন করতে হয়। এ জন্যই আসলে সময়মতো বই প্রকাশ করা হয়ে ওঠে না।’

এ ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের মোট সাতটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, আশা করছি মেলা শেষ হওয়ার আগে বইগুলো আসবে। বই প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, পাণ্ডলিপি যাচাই করা, নির্ধারণ করা, রিভিউ করা, সবকিছু শেষ করে বই আনতে সময়ের প্রয়োজন হয়। এসব কারণে আমরা মেলায় এখনও বই আনতে পারিনি। ইতোমধ্যে আমাদের দুটি বই রিভিউ সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকিগুলো রিভিউর কাজ চলছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘বই প্রকাশ করা তো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমি কথা বলেছি ওদের সঙ্গে, যতটুকু জানিয়েছে, পাঁচটিও বেশি বইয়ের পাণ্ডলিপি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যদি সেগুলো বইমেলা শেষ হওয়ার আগে বইগুলো হাতে এসে পৌঁছালে আনা হবে।’