Kolkata police constable death: জামা ইস্ত্রি করতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের

মর্মান্তিক ঘটনা। জামা ইস্ত্রি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। মৃত পুলিশকর্মীর নাম অভীক মিত্র (৪৯)। তিনি নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাইগাছি ওস্তাগার পাড়া লেনের বাসিন্দা। নিজের ঘরের মধ্যেই তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অভীক মিত্র ২০০২ সালে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলে যোগ দেন। এরপরেই শুরু হয় তাঁর চাকরি জীবন। পরিবারে তাঁর ১৪ বছরের দুই যমজ পুত্র সন্তান রয়েছে। স্ত্রী মৌমিতা মিত্র সর্বক্ষণ সংসার সামলানোর কাজেই ব্যস্ত থাকেন। গতকাল রাতে স্ত্রী মৌমিতা দুই পুত্র সন্তানের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। তখন পাশের ঘরে স্বামী অভীক মিত্র জামা ইস্ত্রি করছিলেন। আজ সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ মৌমিতা ঘুম থেকে উঠে দেখেন স্বামী ঘরের ভেতরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা এরপর অভীককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভীক মিত্রর স্ত্রী ও গোটা পরিবার। মৃতদেহ উদ্ধার করে শান্তিপুর থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্ত্রী মৌমিতা মিত্রর দাবি, খুবই সৌখিন মানুষ ছিলেন অভীক। মাঝেমধ্যেই রান্না করে খাওয়াতেন বাড়ির সবাইকে। গান-বাজনা করতেও ভালোবাসতেন তিনি। পরিবারের সকলে ঘুমিয়ে পড়ার পরেও অধিক রাত পর্যন্ত অভীক বাবু গান করতেন। গতকাল রাতেও ইস্ত্রি করতে করতে নিজের গলাইতে গান গাইছিলেন তিনি। তবে কখন যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও অজানা পরিবারের কাছে। তবে অভীকের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ২১ বছরের চাকরি জীবন হঠাৎই যে এইভাবে থমকে যাবে তা ভাবতেই চোখে জল ধরে রাখতে পারছে না পরিবার।

মৃতের জামাইবাবু সুবীর গোমস জানান, ‘আজ সকালে আমি ঘটনাটি জানতে পেরে হাসপাতালে এসেছি। গতকাল রাতে ইস্ত্রি করার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওনার স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে পাশের ঘরে ছিলেন। আজ সকালে তাঁরা অভীককে অচৈতন্য অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’ যদিও এর পিছনে অন্য রহস্য থাকতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup