সবকিছুতেই পর্দা, আদালতে বলতে গিয়ে হোঁচট খেলেন কুন্তল, ৬ কোটির লেনদেন যুব নেতার!

একেবারে যেন রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস। এই তিনি কোর্ট রুমের বাইরে বলছেন , আমার সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। ১০০ কোটির সম্পত্তি রয়েছে। ১০০টি গাড়ি রয়েছে। প্রমাণ করতে পারলে চরম সিদ্ধান্ত নেব। আবার সেই কুন্তলই এদিন আদালত কক্ষের ভেতরে কথা বলতে গিয়ে বার বার হোঁচট খেলেন।

কুন্তল ঘোষ নিজে যুব তৃণমূলের রাজ্য নেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল তাকে। এদিকে আদালতের বাইরে তিনি একেবারে চরম সিদ্ধান্তের হুঁশিয়ারি দেন। তবে কোর্টরুমের ভেতরে তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে চাই।

কুন্তলের এই কথা শুনে তাকে বলার অনুমতি দেন বিচারক। এরপর বলা শুরু করেন কুন্তল। কিন্তু সেখানেও বার বার হোঁচট। কুন্তল এদিন বলা শুরু করেছিলেন সব কিছুর মধ্য়ে একটা পর্দা রয়েছে….। কিন্তু ঠিক কোন পর্দার কথা তিনি বলতে চেয়েছিলেন তিনি? তবে কি কোনও আড়ালের কথা বলতে চাইছিলেন তিনি? কী সেই আড়াল? তবে কি আরও কোনও রাঘব বোয়ালের কথা বলে দেবেন কুন্তল? নাকি সবটাই কৌশল?

এদিন তিনি ফের বলেন ডায়েরি উদ্ধার…. তবে সেই কথাও শেষ হয়নি। বিচারক তাকে থামিয়ে দেন। এদিকে কুন্তলের বাড়ি থেকে একটি ধূসর রঙের ডায়েরিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্য়েই। তাতেই নাকি সব হিসাবপত্র রয়েছে। তবে কি সেই ডায়েরি নিয়ে ফের মুখ খুলছিলেন কুন্তল?

এরপর বিচারক তাকে বলেন, আপনি কি নতুন কিছু বলতে চান? এবার কুন্তলের নতুন কথা, গোপাল দলপতির আন্ডারে…এবারও বিচারপতি তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, আপনার নতুন কিছু বলার থাকলে আইনজীবীর মারফৎ বলুন। পরে কুন্তলের কাছ থেকে কথা শুনে তার আইনজীবীরা জানিয়ে দেন তাদের আর নতুন কিছু বলার নেই।

তবে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছে, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৬ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। সেখান থেকে ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেই অ্য়াকাউন্টগুলি এবার খতিয়ে দেখা হবে। কোথা থেকে এই বিপুল টাকা এসেছিল সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কোন প্রভাবশালীদের কাছে এই টাকা গিয়েছিল সেটাও দেখা হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল, এমনটাও দাবি করা হচ্ছে।

তবে আদালতের নির্দেশ, আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকবেন কুন্তল।