Delhi: আদানির বিরুদ্ধে মিছিলে দেখা নেই টিএমসির, ফ্লপ খেল বিরোধীদের ED অভিযান

চন্দ্রশেখর শ্রীনিবাসন

বিরোধীরা একেবারে দল বেঁধে দিল্লিতে ইডির অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা বিশেষ জমল না। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তারা। তবে বিকালেই তাঁরা ফের সংসদে ফিরে আসেন। এদিন বিরোধীদের মধ্য়ে ছিল কংগ্রেস, ডিএমকে, আপ ও বাম দলগুলি। সেখানে দেখা যায়নি তৃণমূলকে।

ওই প্রতিবাদ মিছিলে হলটা কী?

বিরোধীদের এই মিছিলকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে ফেলে। লাউড স্পিকারেও নেতৃত্বকে পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয় যেন তারা আর না এগোন। 

এদিকে দিল্লি পুলিশ ও বিরোধীদের মধ্য়ে রীতিমতো টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। এদিকে শেষ পর্যন্ত রণেভঙ্গ দিয়ে তারা ফের পার্লামেন্টে ফিরে আসেন। পরে তারা সংসদে এসে জানান তারা একে একে ইডি অফিসে গিয়ে অভিযোগ জমা দেবেন। 

কংগ্রেসের সৈয়দ নাসির হুসেন জানিয়েছেন, আমরা পার্লামেন্টে ফিরে যাব। ফের সেখানে গিয়ে আমরা এই ইস্যুটি তুলব।  এরপর আমাদের ১৭-১৮জনের প্রতিনিধিদল ইডির সঙ্গে দেখা করবে।  আমরা একে একে ইডির অফিসে গিয়ে অভিযোগ জমা করব। এর সঙ্গেই বিরোধীদের দাবি, যদি ইডি অভিযোগ নিতে না চায় তবে তাদের আসল মুখোশটা খুলে যাবে। এরপর সংসদে সেই অভিযোগপত্রটা খোলসা করে দেওয়া হবে। তারপর পার্লামেন্টে তারা ইস্যুটি তোলার সিদ্ধান্ত নেন। 

এদিকে আগেই কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে কেন্দ্রকে এই ইস্যুতে তুলোধোনা করেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিজয় চকের ধারে কাছে বিরোধীদের জড়ো হতে দেওয়া হচ্ছে না। আসলে বিজয়চকেই রয়েছে ইডির অফিস।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,  আদানি প্রতারণা সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে আমরা সকলেই ইডির কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমাদের থামিয়ে দিয়েছে। প্রচুর টাকার প্রতারণা হয়েছে। এলআইসি, এসবিআইকে শেষ করে দিয়েছে। 

কারা গেলেন না এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে? 

বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার এই প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন না। নিউজ এজেন্সি এএনআই সূত্রে এমনটাই খবর। 

বিরোধীদের ওই চিঠিতে কী লেখা রয়েছে?

দু পাতার চিঠিতে ১৬টি বিরোধী দলের নেতারা সই করেছেন। স্বচ্ছতার সঙ্গে এই অভিযোগের তদন্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। তাদের দাবি শুধু মাত্র দেশের অর্থনীতির উপর এটা আঘাত নয়, এটা দেশের গণতন্ত্রের উপর আঘাত।