Mamata Banerjee: কোন পথে পঞ্চায়েত? ভোট বিপর্যয়ের পর কালীঘাটে প্রথম বৈঠকে কী বার্তা দেবেন মমতা?

ত্রিপুরা-মেঘালয়ের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফল ধাক্কা দিয়েছে ২০২৪-র আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দল হয়ে ওঠার আশায়। সাগরদিঘির ফল চিড় ধরিয়েছে আত্মবিশ্বাসে। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ এবং সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কালীঘাটে হবে সেই বৈঠক। বৈঠকে কী বার্তা দেবেন নেত্রী, কী ভাবে বেঁধে দেবেন দলের আগামী কর্মসূচিকে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে মেঘালয়-ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের ফল ছিল তৃণমূলের কাছে ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দু’টি রাজ্যে আশানুরূপ ফল হয়েনি দলের। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়? ওই দুই রাজ্যে আগামী দিনে দলের কর্মপদ্ধতি কী হবে? তা নিয়ে শুক্রবার বেশ কিছু নির্দেশ দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতি কী ভাবে নিজেদের ভূমিকা রাখবে তৃণমূল সে সব নিয়ে শুক্রবারের বৈঠকে বার্তা দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।

সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারের পর প্রাথমিক পর্যালোচনায় দলনেত্রী জানতে চেয়েছিলেন সংখ্যালঘুরা কি দলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? এই উত্তর খুঁজতে একটি কমিটি তৈরি করে দেন মমতা। সেই কমিটি এ নিয়ে তাঁদের রির্পোট দলের কাছে জমা দিয়েছে। যদিও মুর্শিদাবাদের তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন না সাগরদিঘির হারের পিছনে সংখ্যালঘুদের মুখ ফেরানো কারণ নয়। এর পিছনে রয়েছে ‘অন্তর্ঘাত’। যার জন্য জয় পেয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী। এই বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য জেলাস্তরেও আলাদা বৈঠক হয়েছে। তবে সংখ্যালঘুদের সরে যাওয়ার বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। (আরও পডুন। মমতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা, হলফনামা দেওয়ার সময় বেঁধে দিল আদালত)

ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলির সাংগঠিকস্তরের নেতারাও দলনেত্রীর মন্তব্যের পর এ নিয়ে বেশ চিন্তায়। আাগামী দিনে সংখ্যালঘু ভোটার ধরে রাখতে কী ভাবে এগোতে হবে তার দিক নির্দেশ করতে পারেন দলনেত্রী। তবে সংখ্যালঘু এলাকায় কাজের জন্য তাঁদের সামনে সারিতে আনার তেমন কোনও প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না মমতা। তবে ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, সাগরদিঘির ফল নিয়ে তৃণমূলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, সংখ্যালঘু এলাকায় সংখ্যালঘু প্রার্থী দিতে। এক তৃণমূল নেতার কথায়, এই বিষয়টিও ভাবনার মধ্যে রেখেছেন নেত্রী।

সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। হাতে সময় আর বেশি নেই। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মাপকাঠি কী হবে তাও আরও একবার দলীয় নেতাদের জানিয়ে দিতে পারেন দলনেত্রী।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে দল। একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছেএই দুর্নীতিতে। এর প্রভাব যে পঞ্চায়েত ভোটে পড়বে না তেমনটা মোটেই নয়। এই পরিস্থিতিতে ‘রোগ সারিয়ে রোগীকে বাঁচানোই’ পন্থা মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী। অর্থাৎ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সই অবস্থান হবে দলের। তেমনই বার্তা শুক্রবারের বৈঠকে দেবেন তৃণমূল নেত্রী।