BBC-কে ‘সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত’ সংস্থা বলে ট্যাগ Twitter-এর, তুঙ্গে বিতর্ক

বিখ্যাত সংবাদসংস্থা BBC-কে ‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত’-এর ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করল টুইটার। শুধু BBC-ই নয়। PBS, NPR ও ভয়েস অফ আমেরিকার মতো বেশ কিছু সংস্থাকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আর তার জেরেই বেজায় সমালোচনা, বিতর্কের সূচনা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা BBC টুইটারের এই কাজের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। আরও পড়ুন: Twitter Logo Change: সরে গেল টুইটারের নীল পাখির লোগো, বদলে Doge মিম বসালেন ইলন মাস্ক

বিশ্বজুড়ে অনেক বড় সংবাদসংস্থাই কোনও না কোনও সরকারি তহবিল পায়। BBC, PBS, NPR ও ভয়েস অফ আমেরিকার মতো সংবাদসংস্থাও তার ব্যতিক্রম নয়।

আর সেটা দেখিয়েই সম্ভবত তাদের ‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত’-এর ক্যাটাগরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছে টুইটার। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কানাডার CBC বা কাতারের আল জাজিরার মতো সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে টুইটার এমন কিছুই করেনি।

২.২ মিলিয়ন ফলোয়ার থাকা @BBC অ্যাকাউন্টটিকেই ‘গভর্নমেন্ট ফান্ডেড’ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে বিবিসি-র অন্য শাখা অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে কিন্তু এই বদল করা হয়নি।

তবে এর মধ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। ইলন মাস্ক বরাবরই টুইটারে বাম-ঘেঁষা সংবাদসংস্থাগুলির বিরোধিতা করেছেন। আর সেই উদ্দেশ্য থেকেই এমন করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।

BBC-র আগে মার্কিন সংবাদসংস্থা NPR নেটওয়ার্ককেও এই একই তালিকাভুক্ত করেছিল টুইটার। NPR-এর লেবেলও ‘সরকার সমর্থিত সংবাদমাধ্যমে’ পরিবর্তন করে দিয়েছিল টুইটার। অর্থাত্ টুইটার যেন পরোক্ষভাবে এটাই বলতে চাইছে যে, মার্কিন সরকার চাইলে তাদের সম্পাদকীয় নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এ যেন একেবারে রাশিয়া-সমর্থিত ক্রেমলিন-এর মতো নিউজ আউটলেটগুলির মতো ব্যাপার।

তবে হোয়াইট হাউস টুইটারের এই কাজে মোটেও খুশি নয়। প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ‘এই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই যে NPR-এ সাংবাদিকদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। NPR রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে কিছুটা তহবিল পায় বটে। কিন্তু সিংহভাগই আসে কর্পোরেট স্পনসরশিপ এবং NPR-এর সাবস্ক্রিপশন ফি থেকে। আরও পড়ুন: ব্যাগ বেচেই বিশ্বের ধনীতম বার্নার্ড আরনল্ট, গাড়ি-রকেটের কারবারি মাস্ক দু’নম্বরে

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup