Dead body recover: রবিনসন কাণ্ডের ছায়া হাওড়ায়, স্বামীর মৃতদেহ আগলে স্ত্রী

স্বামীর পচাগলা দেহ আগলে বসে থাকলেন স্ত্রী। ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখা গেল হাওড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। হাওড়ার ব্যাটরা থানার ডুমুরজোলা এইচআইটি কোয়ার্টার থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সমর ভট্টাচার্য। তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী। স্ত্রীর সঙ্গে ওই কোয়ার্টারে তিনি থাকতেন। তবে ওই বৃদ্ধ দম্পতির কোনও সন্তান ছিল না। বেশ কয়েকদিন ধরে ওই কোয়ার্টার থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। বুধবার দুর্গন্ধ তীব্র আকার ধারণ করে। যার ফলে কার্যত টেকা দায় হয়ে যায়। তড়িঘড়ি স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে দেখতে পায় স্বামীর দেহ আগলে বসে রয়েছেন স্ত্রী। ঘটনার পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। পাশাপাশি মৃতের স্ত্রীকেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। স্থানীয়দের বক্তব্য, ওই বৃদ্ধ সকলের সঙ্গে মিশতেন। বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখেননি স্থানীয়রা। যদিও কী কারণে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমরবাবুর স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন। দম্পতি নিঃসন্তান হওয়ায় আত্মীয়দের খবর দিয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাসখানেক আগেই হাওড়ার জগাছায় স্ত্রীর মৃতদেহ আগে বসে ছিলেন স্বামী। সমীক্ষার কাজে গিয়ে বিষয়টি নজর এসেছিল হাওড়া পুরসভার কর্মীদের। মৃতার নাম ছিল তপতী চক্রবর্তী। প্রায় চার পাঁচ দিন ধরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন তাঁর স্বামী তুষার চক্রবর্তী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এছাড়াও, বাঁকুড়া শহরের দোলতলা এলাকায় ভাইয়ের দেহ আগলে রেখে ছিলেন দাদা ও বউদি। দাদা অশোক কর্মকার এবং বউদির সঙ্গে থাকতেন ৫৬ বছর বয়সের সনৎ কর্মকার। দুই ভাই মিলে একটি টেপ এবং রেডিও সারাইয়ের দোকান চালাতেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। স্থানীয়রা ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে সেখানে দেখতে পায় সনৎ কর্মকারের মৃতদেহ। আর তাঁকে আগলে ছিলেন তাঁর দাদা এবং বউদি।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup