Kerala Houseboat Capsized: কেরলে হাউজবোট জলে ডুবে মৃত্যু কমপক্ষে ২১ জনের, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মোদীর

কেরলে হাউজবোট জলে ডুবে মৃত্যু কমপক্ষে ২১ জনের। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গতকাল সন্ধ্যায় ঘটেছে মালাপ্পুরমে, তনুর উপকূলের কাছে। সেই হাউজবোটে পর্যটকরা ছিলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে আঞ্চলিক ফায়ার রেঞ্জ অফিসার শিজু কেকে সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা এখনও পর্যন্ত ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পেরেছি। আমরা জানি না, ঠিক কতজন সেই হাউজবোটে ছিলেন। তাই আণরা আমাদের উদ্ধারকাজ জারি রেখেছি। আরও কোনও ব্যক্তি উলটে যাওয়া হাউজবোট বা কাদায় আটকে রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে।’ তিনি জানান, ঘটনার খবর জানতেই উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন এবং তৎক্ষণাত উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়।

এদিকে নৌকাটি ডাঙায় আনা হচ্ছে। কেরলের ত্রীড়ামন্ত্রী ভি আবদুর রহমান জানান, নিহতদের মধ্যে অনেকেই মহিলা ও শিশু। গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে নিজের সন্তানদের নিয়ে মা-বাবারা ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে নৌকাটি উলটে যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, নৌকায় অতিরিক্ত ভিড় থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর নৌকা তীরে ফিরে আসার কথা। তবে তা করা হয়নি। উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল সন্ধ্যা ৭টায়। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য শোক প্রকাশ করেছেন এবং মৃতদের নিকটাত্মীয়দের প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়র কথা ঘোষণা করেছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘মালাপ্পুরমের তনুরে নৌকাডুবির মর্মান্তিক র্ঘটনায় অনেকের প্রাণহানি হয়েছে। তাতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। রাজ্যের সব মন্ত্রীদের উদ্ধারকাজের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শোকাহত পরিবার ও মৃতদের বন্ধুদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’ আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন সরকারি শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার পরপরই একটি আপৎকালীন বৈকের ডাক দেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ। মধ্যরাতে স্বাস্থ্য দফতরের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত হন সেই বৈঠকের জন্য। মন্ত্রী নির্দেশ দেন, দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের চিকিৎসায় যাতে কোনও ত্রুটি না রাখা হয়। এদিকে মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত যাতে ভোরেই শুরু হয়, তারও নির্দেশ দেন তিনি। ত্রিশূর ও কোঝিকোড় জেলা থেকে চিকিৎসক-সহ পর্যাপ্ত কর্মী এনে তিরুর, থিরুরাঙ্গাদি, পেরিন্থালমান্না হাসপাতাল ও মানচেরি মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত করা হবে।