পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI – EDর তদন্তের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতে CBI-ED-র এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। এর আগে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে কোনও স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূলি সদস্য শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের বাড়ি ও বিধাননগরের অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি পায় তারা। এর পর ইডির তরফে জানানো হয় ওই নথিতে পুরসভায় নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে তারা। এর পরই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অনুমতি চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির হয় সিবিআই ও ইডি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্গ হিসাবে তদন্তের অনুমতি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর মামলাটি স্থানান্তরিত হয়ে যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। তিনি রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহার বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় সরকার। কিন্তু সেখানেও কোনও স্বস্তি পায়নি তারা। এবার শেষ উপায় হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল তারা।
রাজ্য সরকারের দাবি, হাইকোর্টে তাদের বক্তব্য ঠিক করে শোনা হয়নি। তাছাড়া এব্যাপারে ইডি – সিবিআইয়ের এক্তিয়ার নিয়েও আদালতে প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বিরোধীদের প্রশ্ন, দুর্নীতিবাজদের বাঁচাতে কেন সাধারণ মানুষের করের টাকা খরচ করে আদালতে দ্বারস্থ হচ্ছে সরকার। আর দুর্নীতি না হয়ে থাকলে আদালতে যাওয়ার দরকার কী?