Coromandel Express Collission Revised Death Toll: ২৮৮ নয়, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত্যু ২৭৫ জনের, জানাল ওড়িশা সরকার

গতকাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে জানানো হয়েছিল যে ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায়। তবে আজ সকালে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৪ হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ আগেই ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানান, মৃতের সংখ্যা আদতে ২৭৫। তিনি আজ সংবাদমাধ্যমকে জানান, জেলাশাসক নিশ্চিত করেছেন যে কিছু মৃতদেহ দু’বার গোণা হয়েছে। তাই মোট মৃতের সংখ্যা সংশোধন করা হয়েছে। এদিকে জানা গিয়েছে, এখনও ১৬০টি মৃতদেহকে চিহ্নিত করা যায়নি এবং তাদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এই আবহে মৃতদেহগুলি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বালাসোর থেকে।

জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে গুরুতর ভাবে আহতের সংখ্যা ৫০-এর ওপরে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। অপরদিকে ৭০০-র বেশি রেলযাত্রী কিছুটা আহত বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। এদিকে যেসব মৃতদেহ এখনও চিহ্নিত হয়নি, সেগুলিকে বালাসোর থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। সেই মৃতদেহ ভালো ভাবে সংরক্ষণ করার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ওড়িশা সরকার। জানা গিয়েছে এই মৃতদেহগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভুবনেশ্বরে। সেখানকার বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষণ করে রাখা হবে এই দেহগুলিকে।

আজকে পর্যন্ত বাহানগা হাই স্কুল এবং উত্তর ওড়িশা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির একটি অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ। সেখান থেকে আজ শনাক্ত না হওয়া দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ওড়িশার রাজধানীতে। এদিকে ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে আরও ৪২ ঘণ্টা সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা থাকবে দেহগুলি। তার মধ্যে মৃতদের পরিজনরা যদি ভুবনেশ্বরে এসে হেদ শনাক্ত করতে না পারেন, তাহলে ওড়িশা সরকারই নিয়ম মাফিক সেই দেহগুলির সৎকার করবে। এদিকে ইতিমধ্যেই যেসব মৃতদেহ শনাক্ত হয়েছে, সেগুলির ময়নাতদন্ত হচ্ছে। এরপর সেই দেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।