Petrol and Diesel Prices: আজ পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কি কমল? কোন ইঞ্জিনের গাড়ি কিনলে লাভ হবে আপনার?

মঙ্গলবার ভারতের চার মহানগরীতে (মেট্রো সিটি) অপরিবর্তিত থাকল জ্বালানি তেলের দাম। সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম পড়ছে ১০৬.০৩ টাকা। দিল্লিতে লিটারে দাম পড়ছে ৯৬.৭২ টাকা। সেখানে চেন্নাই এলং মুম্বইয়ে যথাক্রমে ১০২.৬৩ টাকা এবং ১০৬.৩১ টাকায় প্রতি লিটার পেট্রোল বিকোচ্ছে। সেখানে কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই এবং দিল্লিতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম পড়ছে যথাক্রমে ৯২.৭৬ টাকা, ৯৪.২৭ টাকা, ৯৪.২৪ টাকা এবং ৮৯.৬২ টাকা। 

আরও পড়ুন: Car loans details-মাঝারি বেতনেও গাড়ি কেনা সম্ভব, EMI-এর হিসাব বুঝে নিন একনজরে

দাম তো জানলেন। তাহলে পেট্রোল নাকি ডিজেলের গাড়ি কিনতে চান? আপনি যদি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই ভাবছেন যে পেট্রোলে চলা গাড়ি কিনবেন নাকি ডিজেলের গাড়ি কিনবেন (ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেকে বৈদ্যুতিক গাড়িও কিনতে পারেন। তবে পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ি নিয়ে দোটানায় থাকলে আপনার যাবতীয় ধোঁয়াশা কেটে যাবে এই প্রতিবেদনে। কারণ এই প্রতিবেদনে পেট্রোল এবং ডিজেল গাড়ির মধ্যে তুলনা করা আছে।

আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশের অপেক্ষা নয়, BS7 গাড়ির তৈরির প্রস্তুতি শুরু করার বার্তা গডকড়ির

১) ইঞ্জিনের জীবনকাল: ‘হিন্দুস্তান টাইমস অটো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজেল ইঞ্জিনের তুলনায় পেট্রোল ইঞ্জিনের জীবনকাল স্বল্প হয়। দুটি জ্বালানি তেলে যে ধরনের পদার্থ থাকে, তারই প্রভাব ইঞ্জিনের উপর পড়ে। সেটার কারণে পেট্রোল এবং ডিজেল ইঞ্জিনের মধ্যে সেই পার্থক্য দেখা যায়।

২) দূষণ কম হয় কোন গাড়িতে? ‘হিন্দুস্তান টাইমস অটো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজেল গাড়ির তুলনায় পেট্রোলের গাড়িতে দূষণের মাত্রা হয়। পেট্রোলের ইঞ্জিন তুলনামূলকভাবে কম দূষিত কণা বের হয়। তাই পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকারক হয়। 

৩) গাড়ির দাম: ‘হিন্দুস্তান টাইমস অটো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজেল গাড়ির থেকে পেট্রোল ইঞ্জিনের গাড়ির দাম সাধরণত কম হয়। কারণ পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায় ডিজেল ইঞ্জিনের গঠনপ্রণালী কিছুটা জটিল হয়ে থাকে। তাই দামও বেশি হয়।

৪) গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ এবং সার্ভিস: গাড়ি কেনার আগে মোটামুটি সকলেরই মাথায় থাকে যে গাড়ির সার্ভিসিং করতে কত টাকা খরচ হবে। ‘হিন্দুস্তান টাইমস অটো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিজেল গাড়ির থেকে পেট্রোল গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কম হয়। কারণ পেট্রোল ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম সার্ভিসিংয়ের প্রয়োজন হয়।