মাথার চুলে জোড়া ফুল। বুকের ভেতর তৃণমূল। বর্ধমান থেকে হেঁটে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের দিকে রওনা হলেন বর্ধমানের শের আলি। গত আট বছর ধরে তিনি শহিদ মিনারের এই সভায় যান। তবে এবার একটু অন্যরকম। ২১ জুলাই ভোর রাতে তিনি বর্ধমানের বাড়ি থেকে বের হবেন। এরপর দীর্ঘ পথ হাঁটবেন তিনি। হেঁটেই তিনি শহিদ মিনারে আসবেন।
তবে এবার তিনি মাথার চুলে বিশেষ ছাঁট দিয়ে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম লিখেছেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় খাঁটি সোনা। অভিষেকও খাঁটি সোনা। হেঁটে বিভিন্ন জায়গায় যান অভিষেক। অভিষেক যদি হেঁটে যেতে পারেন তবে আমি কেন করব না। মানুষ পঞ্চায়েতে দেখিয়ে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা ভালোবাসে। সেকারণে এবার দিল্লিতে চাই মমতাকে। তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন। মমতার কোনও ভেজাল নেই। তিনি খাঁটি সোনা। তার জন্য় হেঁটে কলকাতা যাব। ভোরের আজান দিলেই আমি হাঁটতে শুরু করব। আমি একাই হাঁটব। কলকাতা যেতে দুপুর হয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুড়ি ছোলা খান, আমিও খাব।
কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অন্ধ ভক্ত ওই ব্যক্তি। প্রতিবারই শহিদ মিনারে ২১শে জুলাইয়ের সভাতে যান। তবে এবার তিনি মাথায় চুল কেটে মমতা ও অভিষেকের নাম লিখেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জোড়া ফুল এঁকেছেন মাথায়। এরপর শুক্রবার ভোরবেলা তিনি হেঁটে বের হবেন কলকাতার দিতে। সঙ্গে থাকবে তৃণমূলের পতাকা। আর ছোলামুড়ি। তাঁর কথায়, মমতার কোনও ভেজাল নেই। তিনি খাঁটি সোনা। তার জন্য় হেঁটে কলকাতা যাব। ভোরের আজান দিলেই আমি হাঁটতে শুরু করব। আমি একাই হাঁটব। কলকাতা যেতে দুপুর হয়ে যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুড়ি ছোলা খান, আমিও খাব।
আসলে অগ্নিকন্যার সহজ সরল জীবন, হাওয়াই চটি, এটাই বহু তৃণমূল কর্মীকে আকর্ষিত করে। সেই টানেই হেঁটে কলকাতা আসতে বুক কাঁপে না তৃণমূল কর্মীদের। আর এটাই তৃণমূলের কাছে বড় ভরসার জায়গা। ২১শে জুলাই মানে তৃণমূলের কাছে অন্য় আবেগ। এবার আবার পঞ্চায়েতে বিপুল জয়। তারপর যেন সভার উৎসাহ দ্বিগুণ তৃণমূলের।