Tigress Cannibalism: তিন বাচ্চার জন্ম দিল বাঘিনী, পরে মৃত দুই বাচ্চাকেই খেয়ে নিল মা!

পেটে ছিল চোট। ফাঁদে পরে জখম হয়েছিল গর্ভবতী বাঘ। তবে সেই অবস্থাতেই তিন বাচ্চাকে জন্ম দেয় সে। এর মধ্যে অবশ্য দু’টো বাচ্চা মৃত ছিল। আর সেই মৃত বাচ্চাদের খেয়ে নিল সেই বাঘ। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের কর্বেট টাইগার রিজার্ভে। বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। জানা গিয়েছে, গত ১৯ জুলাই জখম বাঘটির অবস্থা খতিয়ে দেখতে ঢেলা রিহ্যাব সেন্টারে গিয়েছিলেন তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান যে মা বাঘটি সুস্থ রয়েছে। বাঘটিকে খাঁচাতেই রাখা হয়েছিল।

তবে বিশেষ কমিটির সদস্যরা জানতে পারেন, জন্ম দেওয়া তিনটি বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটি মারা গিয়েছে। অন্য আরও একটি বাচ্চার শরীরও খারাপ ছিল। বন দফতরের কর্মীরা সেই বাঘের বাচ্চাটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বাঘের বাচ্চাটিও মারা যায়। এরপর মা বাঘটির সামনে থেকে বন দফতরের কর্মী এবং বিশেষজ্ঞরা চলে যায়। তাকে একা শান্তিতে থাকতে দিতেই সেখান থেকে চল গিয়েছিলেন তাঁরা। দুই বাঘের বাচ্চার দেহ সেখানেই মায়ের কাছেই রেখে গিয়েছিলেন বন কর্তারা।

পরদিন সকালে যখন বন দফতরের কর্মীরা মৃত বাঘের বাচ্চাগুলির দেহ সংগ্রহ করতে আসে, তারা সেটা খুঁজে পায়নি। এদিকে খাঁচা বন্দি অবস্থায় বাঘের বাচ্চার দেহ কীভাবে উধাও হয়ে গেল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। পরে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হন যে বাঘটি নিজের বাচ্চাদের শবদেহ খেয়ে ফেলে। এই নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে জানানো হয়, বাঘেদের মধ্যে স্বজাতির প্রাণীকে ভক্ষণ করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। বিশেষ করে যদি বাঘ আঘাত প্রাপ্ত হয়, তাহলে এই প্রবণতা বাড়ে।

এদিকে গত ১২ জুলাই বেঙ্গল সাফারি পার্কের ‘কিকা’ নামক বাঘটি দু’টি সন্তানের প্রসব করে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সদ্যোজাতের একটি সুস্থ থাকলেও অন্য শাবকটি মারা গিয়েছে। এর ফল বেঙ্গল সাফারি পার্কে বাঘের বেড়ে হল ১১। সাফারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে অন্তঃসত্ত্বা হয় কিকা। তার পর থেকে বিশেষ নজরদারিতে ছিল। টাইগার সাফারি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয় তাকে। এর পর গত ১২ জুলাই বাঘিনীটি জোড়া শাবকের জন্ম দেয়। সাফারির অধিকর্তা কমল সরকার জানিয়েছেন, জোড়া শাবকের মধ্যে একটি মৃত বাচ্চাই প্রসব করে সে। জীবিত শাবকটি এবং কিকা দু’জনেই সুস্থ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বেঙ্গল সাফারি পার্ক তৈরি হয়। বৈকুন্ঠপুর বনাঞ্চলের প্রায় সাড়ে সাতশো একর এলাকা নিয়ে পার্কটি তৈরি হয়েছে। ২০১৭ সালের বেঙ্গল সাফারি পার্কে শিলা এবং স্নেহাশিস নামে দুটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে আনা হয়। এর কিছু দিন পর বিভান নামে আরও একটি রেয়ল বেঙ্গল টাইগারকে আনা হয়। এর মধ্যে শিলা অন্তঃসত্ত্বা হয় পার্কে আসার আটমাস পরে। ২০১৮ সালে তিন সন্তানের জন্ম দেয় শিলা। তাদের মধ্যে একটি বাঘ সাদা ছিল। সেই বাঘটি হল কিকা। আর সদ্য সেই কিকা নিজে মা হয়েছে।