ভারতে আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ। এই রূপের নাম এরিস। এটি পাওয়া গেল মহারাষ্ট্রে। মে মাসে প্রথম এই রূপটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। আর এটিই এখন অনেকের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেনে নেওয়া যাক, সেটি কেন।
কোথা থেকে এল এই নতুন করোনা?
জানা গিয়েছে, করোনার রূপ ওমিক্রনেরই একটি ভাগ এই এরিস। বিজ্ঞানীরা আঘেই জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে যাবে— এমনটা নয়। এটি থাকবে নিজের মতো করে। নিজের রূপ বদলে বদলে এটি কখনও সখনও মানুষকে বিপদেও ফেলবে। নিরন্তর এর রূপের বদল চলতেই থাকে। আর তার ফলেই তৈরি হয়েছে এই নতুন করোনাভাইরাসটি।
কেন এই করোনা নিয়ে ভয়?
করোনাভাইরাসের যে রূপটি সবচেয়ে ঝামেলায় ফেলেছিল, এবং সবচেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ঘটিয়েছিল, সেটি হল ওমিক্রন। আর এই ওমিক্রনেরই একটি রূপ হল এরিস। হালে ইংল্যান্ডে ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। হাসাপাতেল রোগীদের ভিড় বেড়েছে। এর পিছনে রয়েছে এই এরিসেরই ভূমিকা। আর সেই কারণেই এটি নিয়ে উদ্বেগে অনেকে।
এই নতুন করোনায় সংক্রমণের লক্ষণগুলি কী কী?
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগের রূপগুলির যা যা উপসর্গ ছিল, এক্ষেত্রেও প্রায় তেমনই আছে। সেগুলি হল:
- কাশি
- জ্বর
- সর্দি
- গলায় ব্যথা
- শ্বাস নিতে সমস্যা
এগুলিই মূলত এই ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের লক্ষণ। তবে এই নতুন রূপটি নিয়ে যেটি ভয়ের, তা হল এটির সংক্রমণের হার আগের ভ্যারিয়েন্টগুলি বা সাবভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অনেক বেশি। এটি অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণেই সকলকে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।
ভারতীয়দের কী করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। তার জন্য কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা। সেগুলি হল:
১। স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
২। জীবনযাত্রার মান ভালো রাখতে হবে। বেনিয়ম করা যত দূর সম্ভব এড়াতে হবে।
৩। নিয়ম করে টিকা নিতে হবে। করোনার টিকা তো বটেই, যাঁদের অন্য টিকা নেওয়ার কথা, তাঁদেরও সেগুলি নিতে হবে।
৪। কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আপাতত এই বিষয়গুলিতে জোর দিতে বলছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য ভারতে এই নতুন করোনা কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করছে সাধারণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। সেটি ঠিক থাকলে এখানে ভয়ের বিশেষ কারণ নেই।