Rahul Gandhi: ‘মণিপুর জ্বলছে আর মোদী সংসদে হাসছেন, রসিকতা করে জোকস বলছেন’ কটাক্ষ রাহুলের

গত কয়েকমাস ধরে জ্বলছে মণিপুর। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদ দাঁড়িয়ে হাসি ঠাট্টা রসিকতা করলেন। এটা ঠিক নয়। এটা আপনাকে মানায় না। বলছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতা রাহুলের দাবি, মণিপুর যখন জ্বলছে তখন সংসদে হাসাহাসি করছেন প্রধানমন্ত্রী এটা ঠিক নয়।

দ্য প্রিন্টের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে এআইসিসি সদর দফতরে রাহুল গান্ধী একটা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইছেন যে মণিপুর জ্বলে যাক। তিনি মণিপুর জ্বলতে সহায়তা করেছেন। মোদী সরকার যদি হিংসা থামাতে চাইত তবে সরকারের হাতে সেই কৌশল আছে। সেই সঙ্গে মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী।

তিনি জানিয়েছিলেন, ওখানে নারী শিশুরা মারা যাচ্ছে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে। তাদেরকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংসদের মাঝখানে বসে রয়েছেন। আর হাসছেন। এটা রাহুল গান্ধীর ব্যাপার নয়, কংগ্রেসের ব্যাপার নয়, এটা বিরোধীদের ব্যাপার নয়, এটা দেশের ব্যাপার। এটা ভারতের ব্যাপার। বিজেপিও ওই ডিভাইড অ্যান্ড রুল আর জ্বালিয়ে দেওয়ার রাজনীতির জন্য আজ এটা হল।

তবে দিন দুয়েক আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উড়ন্ত চুমু ছুঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সেটাও সংসদের মধ্য়েই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের তখনও কিন্তু মণিপুরে অশান্তি চলছিল। তার মাঝে এই ঘটনা কতটা শোভনীয়?

এদিকে বৃহস্পতিবারই সংসদে টানা দুঘণ্টা বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নরমে গরমে আক্রমণ বিরোধীদের। সেই প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, আমি দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন। প্রায় দুঘণ্টা ধরে বললেন। তার মধ্যেই হাসাহাসি, রসিকতা করা, স্লোগান সবই হল। প্রধানমন্ত্রী একটা করে লাইন বলছেন আর বিজেপি স্লোগান দিচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী মনে হয় ভুলে গিয়েছেন মণিপুর জ্বলছে। গত চার মাস ধরে জ্বলছে মণিপুর।

দেশে যখন এই ধরনের হিংসার ঘটনা হচ্ছে তখন এভাবে দুঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রীর সংসদে মজা করাটা ঠিক নয়। মানায় না এটা।

রাহুল বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাদের বলছিলেন এরকম ঘটনা আমরা আগে কোনও দিন দেখিনি। সেকারণেই বলেছি ভারতের যে ভাবনা সেটাকে মণিপুর হত্যা করা হয়েছে। আমি রূপক দিয়ে কিছু বলিনি। আমি আক্ষরিক অর্থে বলেছি। জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

মণিপুর ইস্যুতে কার্যত সরগরম সংসদ। সেই সঙ্গে জাতীয় রাজনীতিও তপ্ত মণিপুর ইস্যুতে।