JU Student Death: JU-র হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যুর তদন্তে গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার বিস্তারে তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তদন্তে গাফিলতির গুরুতর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের দাবি, মৃত ছাত্র নাবালক। তা সত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসোর ধারা দেয়নি পুলিশ। এই নিয়ে শোরগোল শুরু হতে বিকেলে যাদবপুর থানা সূত্রে জানা যায়, পকসোর ধারা যোগ করার জন্য সোমবার আদালতে আবেদন করবে তারা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে বদলে যাবে ঘটনার গুরুত্ব।

রবিবার রানাঘাটে নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। এর পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রের পরিবার তাঁকে জানিয়েছে, নিহত ছাত্র নাবালক ছিল। ফলে এই মামলায় আমরা পকসোর ধারা যোগ করার আবেদন জানাব। এই আইনে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড থেকে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন একথা জানানোর পরেই লালবাজারের কর্তাদের ফোন করতে শুরু করেন সাংবাদিকরা। কিছুক্ষণ পর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসোর ধারা যোগ করতে সোমবার আদালতে আবেদন জানাবে তারা। আদালত আবেদন গ্রহণ করলে মামলা পকসো আদালতে স্থানান্তরিত হবে। আইন মেনে নাবালকের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নাম প্রকাশ্যে আনতে পারবে না পুলিশ বা অন্য কেউ। ব্যবহার করা যাবে না নাবালকের ছবি।

প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার দিনই নিহত ছাত্রের বাবা জানিয়েছিলেন ছেলে নাবালক। তার পরেও কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো প্রয়োগ করল না পুলিশ ? কেন শুধুমাত্র খুন ও জোর করে আটকে রাখার ধারায় আটকে গেল তারা?