Seema Haidar: আমার বরকে নিয়ে টানাটানি! পাড়ার বৌদির উপর চটে লাল সচিনের পাকিস্তানি বউ, মানহানির নোটিশ পাঠালেন সীমা

অবশেষে সেই মিথিলেশ বৌদির কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েই দিলেন সীমা হায়দার। সীমার আইনজীবী এপি সিং প্রতিবেশী মিথিলেশ ভাট্টির কাছে একটি মানহানির নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর। এই মিথিলেশ ভাট্টিই সচিনকে লাপ্পু, ঝিঙ্গুর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এদিকে এভাবে বরকে লাপ্পু বলার জেরে রেগে লাল সীমা হায়দার। তিনি এবার প্রতিবেশী বৌদির কাছে নোটিশ পাঠিয়েই ছাড়লেন।

আসলে বরের প্রতি কেউ কোনও কটাক্ষ করুক এটা কিছুতেই মানতে পারছেন সীমা। এবার একেবারে আদালতে টেনে নিয়ে যাবেন প্রতিবেশী মহিলাকে। এককথায় এবার আইনি লড়াইয়ের পথে সীমা।

আসলে সচিন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ঝিঙ্গুর আর লাপ্পু শব্দ ব্যবহার করেছিলেন মিথিলেশ ভাট্টি। আসলে লাপ্পু মানে যে ছেলেটা ঠিক করে কথা বলতে পারেন না। আর সচিনকে লাপ্পুর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মিথিলেশ। তাঁর মতে কথা বলতে পারে না, হাবাগোবা সীমা কীভাবে তার প্রেমে পড়ল!

মিথিলেশ ভাট্টি নামে ওই প্রতিবেশী সচিন সম্পর্কে বলেছিলেন, লাপ্পু সা সচিন হ্যায়, ঝিঙ্গুর জ্যায়সা লড়কা…

কার্যত তিনি বলতে চেয়েছিলেন, ভালো করে কথা বলতে পারে না সচিন। হাবাগোবা সচিন। এদিকে মিথিলেশ ভাবির সেই ভিডিয়ো একেবারে শোরগোল ফেলে দেয় সোশ্য়াল মিডিয়ায়।

তবে মিথিলেশ ভাট্টি নামে ওই প্রতিবেশী সাফাই দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, আমি রেগে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই শব্দটা মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এটা তো আমরা কথ্য় ভাষায় বলেই থাকি। অনেকে আমায় লাপ্পি বলে ডাকি। তার মানে কি আমি লাপ্পি হয়ে গেলাম! আমি কাউকে অপমান করিনি।

কিন্তু তাতে অবশ্য বরফ গলেনি। সীমা একেবারে এর শেষ দেখে ছাড়বেন। এবার একেবারে মানহানির নোটিশ গেল মিথিলেশের বাড়িতে। আরও বিপাকে পড়লেন প্রতিবেশী মহিলা। সচিনকে লাপ্পু বলার যে জ্বালা তা পদে পদে বুঝতে পারছেন তিনি।

এদিকে সীমাকে নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ওই প্রতিবেশী মহিলা। তবে সীমা যে সহজে ছাড়বেন না বিষয়টি সেটা অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন।

সীমার দাবি পাবজি খেলতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে। এরপর প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন তিনি। সচিনকে বিয়েও করেছেন তিনি। কিন্তু সীমাকে ঘিরে সন্দেহের মেঘ কাটেনি এখনও এখনও। তিনি কি সত্যিই ভারতকে ভালোবাসেন?নাকি পাকিস্তান পাঠিয়েছে তাকে?