খাস কলকাতায় যুবককে অপহরণের অভিযোগ, তদন্তে নামল হরিদেবপুর থানা

খুন–রাহাজানি–অপহরণ। হরিদেবপুর এলাকায় এই অভিযোগ উঠেই চলেছে। এবার এক যুবককে ফাঁদে ফেলে অপহরণের অভিযোগ উঠল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাদক সেবনের প্রলোভন দেখানো হয় তাঁকে। তারপর তাঁকে ফেসবুকে একটি গ্রুপের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকেই আমন্ত্রণ আসে মাদক সেবনের জন্য। তখন ওই যুবক সেই পাতা ফাঁদে পা দিতেই পুলিশের ভয় দেখানো হয়। তারপর তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্তে নেমেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, এটা আসলে প্রতারকদের কাজ। এই ফাঁদে পড়া যুবকের নাম অরিত্র দাস। তিনি বেহালা শখেরবাজারের বাসিন্দা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অরিত্র দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় এক প্রতারকের। সে তাদের গ্রুপে ঢুকিয়ে নেয় যুবক অরিত্রকে। দু’‌দিন আগে অরিত্র দাসকে ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ করা হয়। সেখানে মাদক সেবনের বিষয়ে কথা পর্যন্ত হয়। সেই কথাবার্তার পর অরিত্র রাজি হলে তাঁকে হরিদেবপুর জোড়া পুকুর এলাকায় আসতে বলা হয়। রাতে সেখানে এলে এক যুবতীর সঙ্গে অরিত্রর দেখা হয়। এই যুবতীই আসলে টোপের কাজ করেছে। আর তখনই একটি স্করপিও গাড়ি করে পাঁচজন যুবক আসে ও নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।

তারপর ঠিক কী হল?‌ তবে ওই যুবককে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। হরিদেবপুর এলাকার নানা জায়গায় তাঁকে ঘোরানো হয়। তারপর ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে পুলিশ পরিচয় দেওয়া প্রতারিতরা। তখনই তাঁকে প্রতারিতরা এক লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে চাপ দেয়। না হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলা হয়। এমনকী গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। যুবকের পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হয়। টাকা চাওয়া হয়। বাড়ির সদস্যকে ফিরে পেতে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তখন তাঁকে ছাড়া হয়। আরও ২০ হাজার টাকা দিলে ওই যুবকের মোটরবাইক ফেরত দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:‌ ‘‌আমি পিছিয়ে আসার মেয়ে নই’‌, প্রতিরোধ গড়ার স্ট্র‌্যাটেজি জানালেন রাজন্যা

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই ঘটনার পর মুক্তি পেয়ে ওই যুবক প্রতারকদের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনা পুলিশের সামনে খুলে বলেন ওই অপহরণ হওয়া যুবক। তদন্তে নেমে পুলিশ একজন প্রতারককে গ্রেফতার করে। এখন তাকে জেরা করে বাকিদের নাগাল পেতে চাইছে পুলিশ। ওই একজন প্রতারককে নাকতলা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেও এই গ্রুপটি অনেক যুবককে নেশা করার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে। এটাই এদের কাজ। পুলিশ সব প্রতারকদের ধরতে চাইছে।