Mizoram Rail Bridge Collapse: কান্নার রোল! হাহাকার! মিজোরামে ব্রিজ দুর্ঘটনায় মালদার একটি গ্রামেই ১৭জনের মৃত্যু

মিজোরামে ভয়াবহ ব্রিজ দুর্ঘটনায় মালদার একই গ্রামে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রাম থেকে প্রত্যেকেই শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এই খবর গ্রামে পৌঁছতেই কান্না রোল নেমে আসে গ্রাম জুড়ে।

জানা গিয়েছে, মালদার পুথুরিয়া থানার চোদুয়ার গ্রামের অন্তত ১৭ জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বেসরকারি সূত্র বলছে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এরা প্রত্যেকেই মিজোরামে গিয়েছিলেন ব্রিজের কাজ করতে। এই খবর পৌঁছতেই গ্রামে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। তিনি জানিয়েছেন, মিজোরামে কাজ করতে গিয়ে ব্রিজ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৃতদেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে প্রশাসন সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে।

(পড়তে পারেন। মিজোরামে রেলসেতু দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলারও বহু শ্রমিক, নজর রাখছেন মমতা )

মঙ্গলবার সকালে মিজোরামে আইজল থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে হঠাৎ-ই একটি নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থলে অন্তত ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ধসে পড়া ওই ব্রিজের তলায় অনেক শ্রমিক আটকে পড়েন। জানা গিয়েছে, ব্রিজটি ভেঙে পড়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ৩৫-৪০ জন শ্রমিক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

রাজ্য সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মিজোরামে একটি নির্মীয়মাণ রেলওয়ে সেতু ভেঙে পড়ার কারণে আপাতত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মালদা জেলার ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে উদ্ধারকাজ এবং সব রকম সাহায্যের সমন্বয় করছেন।

এছাড়া মালদা জেলা প্রশাসনকে শোকাহত পরিবারগুলিকে সমস্ত রকমের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের দেহ যত শীঘ্র সম্ভব তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সব রকম প্রচেষ্টা রাজ্য সরকার মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে করে চলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিকটাত্মীয়দের যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন।