শেষ হলো ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ, সেরা সিলেটের সামিরা

জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদের পঞ্চম বর্ষ। এবারের আসরে সেরা হলেন সিলেটের প্রতিযোগী সামিরা মুকিত চৌধুরী।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের আয়োজন করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন প্রজন্মের কাছে শুদ্ধ বাংলা, বানান ও ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে ইস্পাহানি মির্জাপুর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে শুদ্ধ বাংলা ভাষার ব্যবহার, বানান চর্চা, শুদ্ধ উচ্চারণ ও ব্যাকরণের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় শেষে চূড়ান্ত প্রতিযোগীদের নির্ধারণ করা হয়।

চূড়ান্তপর্বে সেরা বাংলাবিদ নির্বাচিত হয়ে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি পেয়েছেন সিলেটের প্রতিযোগী সামিরা মুকিত চৌধুরী। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ময়মনসিংহের অনুশ্রী বণিক পেয়েছেন তিন লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ঢাকার মনামী জামান পেয়েছেন দুই লাখ টাকার মেধাবৃত্তি।

এছাড়া প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী একটি করে ল্যাপটপসহ ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার জন্যে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি পেয়েছেন। ১০ জনের মধ্যে অন্য সাত জন– ঢাকার মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এস এম রাইয়ান তাওসীফ, জামালপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী সাদাত আশরাফী নাইব, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী দীপায়ন সরকার, এছাড়া সামিহা সালসাবিল খান ইকরা, আশিফা আনজুম, নুযহাত ইসলাম জুহি এবং মো. নাযিল রাহমান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এই বাংলাবিদদের হাত ধরে বাংলা এগিয়ে যাবে আরও অনেক দূর।’ বাংলার বিস্তারে এমন আয়োজন করায় ইস্পাহানিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইস্পাহানি গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান ইস্পাহানি, পরিচালক জাহিদা ইস্পাহানি ও ইমাদ ইস্পাহানি। এছাড়াও ছিলেন ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান এবং চ্যানেল আই ও ইস্পাহানির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানের ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নান জানান, ২০১৭ সাল থেকে যাত্রা শুরু হওয়া বাংলাবিদ অনুষ্ঠানটি পঞ্চম বর্ষ সম্পন্ন করলো। করোনার সময় বন্ধ থাকলেও, মহামারি পরবর্তী সময় এই প্রথম আয়োজনে অভূতপূর্ব সাড়া মেলে। এবার প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতার জন্যে নিবন্ধন করে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজনকে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।