বিজ্ঞানী, ডাক্তার যা খুশি হোন কিন্তু…সতীপ্রথা কেন এসেছিল জানেন? নারীদের সতর্ক করলেন RSS নেতা

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়ে সেমিনার। সেখানেই বক্তব্য রাখলেন আরএসএসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল। নারী শক্তি সংগমের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁর মতে, দ্বাদশ শতকের আগে নারীরা অনেক মুক্ত থাকতেন। ভারতীয় সমাজে তাঁদের অবদান অনেক বেশি ছিল। তিনি পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন। তাঁর মতে একজন বৈজ্ঞানিক হওয়ার মতোই হেঁসেল সামলানোটাও গুরুত্বের। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে।

তাঁর মতে, মধ্যযুগের কথা ধরা যাক। সেই সময়টা ছিল অত্যন্ত কঠিন সময়। গোটা দেশ তখন লড়াই চালাচ্ছে। মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙা হচ্ছে। নারীরা বিপদের মধ্য়ে রয়েছেন। লাখ লাখ মহিলাকে অপহরণ করে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। আহম্মদ শাহ আবদালি, ঘুরি, মহম্মদ গজনি নারীদের বন্দি করে বিক্রি করে দিচ্ছে। একটা কলঙ্কময় অধ্য়ায়। সেই সময় নারীদের সুরক্ষার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছিল।

তাঁর মতে রাম আর কৃষ্ণ একটা বয়সে আসার পরে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু মুসলমান শাসকরা বাল্য বিবাহ চালু করেছিল। মুসলিম আগ্রাসনের আগে ভারতে সতীপ্রথা ছিল না। মেয়েদের সুরক্ষার জন্য এই বাল্য বিবাহ চালু করা হয়েছিল। আমাদের দেশে সতীপ্রথা ছিল না। কিন্তু ইসলামিক আগ্রাসনের পরে বহু নারী জওহর ব্রত, সতী হিসাবে জীবন বিসর্জন দেন। এমনকী এর আগে বিধবা বিবাহের ক্ষেত্রেও কোনও বিধিনিষেধ ছিল না।

তিনি বলেন এভাবেই ভারতের নারীদের মধ্যে অশিক্ষা ও বাল্য বিবাহের মতো প্রথা গ্রাস করেছিল। এটা সমাজের অবনমন। তবে এটা সমাজের কোনও নিয়ম ছিল না। আসলে আপৎকালীন পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য় এটা গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে তাঁর মতে এত বন্ধনের মধ্য়েও ১২ থেকে ১৮ শতকের মধ্য়ে নারীরা সমাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ত্রয়োদশ শতকে সন্ত রামানন্দের শিষ্য ছিলেন কবীর ও রবিদাস। তবে সেই সময় তাঁদের অনেক শিষ্যা ও ছিলেন। তাঁরা বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক ছিলেন। সেই সময় বহু নারী ছিলেন যাঁরা সামাজিক সংস্কারের উপর জোর দিতেন।

সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, আমাদের দেশের নারীদের পাশ্চাত্য সংস্কৃতি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া দরকার। আমাদের উন্নত হতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে, ইসরোতে যান, বৈজ্ঞানিক হয়ে যান, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যা খুশি হোন কিন্তু নারী হিসাবে থাকুন। কারণ নারীরাই সংসারের চালিকাশক্তি।একজন নারীই সন্তানদের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করেন।