একই মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা নিয়ে ইবিতে মারামারি, আহত ৮

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কেন্দ্রীয় মাঠে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুরুতর একজনসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠের দক্ষিণ পাশে ফুটবল খেলা চলাকালে অন্যপাশে আরেকদল শিক্ষার্থী ক্রিকেট খেলছিল। এ সময় উভয় দলের মধ্যে বল যাওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, একপর্যায়ে ফুটবল খেলোয়াড়রা ক্রিকেট খেলতে বাধা দেয় এবং তাদের স্ট্যাম্প তুলে ফেলে দেয়। তখন তাদের মধ্যে অনেকেই উত্তেজিত হয়ে পড়লে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুর্য আহত হন।

পরে ক্রিকেট খেলোয়াড়রা ব্যাট, স্ট্যাম্প নিয়ে এসে ফুটবল খেলোয়াড়দের মাঝে প্রবেশ করে গোলকিপার ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী বিজনকে এলোপাতাড়ি মারা শুরু করে। ফুটবলাররা ডায়না চত্বর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত ফ্ল্যাগ বাঁশ তুলে দফায় দফায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

আহতরা হলেন- ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী তুর্য, একই বিভাগ ও বর্ষের আলী রিয়াজ ও হাফিজ, আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মেজবাহুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের  ধ্রুব, ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বিজন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের জিয়ন ও কবির।

পরে আহতদের তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালেয়র চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানেও উভয়পক্ষ জড়ো হয়ে পুনরায় মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. খুরশিদা জাহান বলেন, আমাদের এখানে পাঁচ জন এসেছিল তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে একজনের অবস্থা একটু গুরুতর। তার চোখের ওপর আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া সবার শরীরে ভালোই আঘাত লেগেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান আবদুস সালাম সেলিম বলেন, ‘মারামারির ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা ক্যাম্পাস শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।

এদিকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড শাহাদৎ হোসেন আজাদ। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে সহকারী প্রক্টরদের পাঠিয়েছি। তারা সবসময়ই পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করছে। আমি ক্যাম্পাসে পৌঁছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল বডির সবার সঙ্গে বসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।