‘‌জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রী বলব কেন?‌’‌ পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলে ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কের

আজও অশান্ত হয়ে রইল বিধানসভা। ওয়াকআউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। আজ, বৃহস্পতিবার জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেন থাকবেন মন্ত্রিসভায়? বিধানসভার অন্দরে এই প্রশ্নে পয়েন্ট অফ অর্ডার তোলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অধ্যক্ষ তা না মানায় প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বুধবার শাসক–বিরোধী একে অপরকে চোর বলেছিলেন। আর আজও তপ্ত পরিবেশ তৈরি হল বিধানসভায়। এদিন বিধানসভা শুরু হতেই বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, ‘‌জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?’‌ এই প্রশ্ন তুলে তুমুল হই–হট্টগোল শুরু হয় বিধানসভায়। অবিলম্বে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করতে হবে দাবি তুলে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

এদিকে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন রেশন দুর্নীতির অভিযোগে বন্দি। তার পরেও তাঁকে কেন ‘মন্ত্রী’ বলা হবে?‌ কীভাবে তিনি বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এই সব প্রশ্ন তুলে হাওয়া গরম করে তোলেন বিরোধী দলের বিধায়করা। আর তা নিয়েই তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্যে। শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বলেন, ‘‌একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতটা প্রভাবশালী যে জেলের ভিতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় আছেন। এই নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।’‌

অন্যদিকে হই–হট্টগোলের মধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে সেটা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এভাবে আনা যায় না। তারপরেই বিধানসভা কক্ষ থেকে স্লোগান তুলে ওয়াকআউট করে বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। আজ তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের এবং বিধায়কের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এই বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিধানসভা থেকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব করে কোনও লাভ হবে না। বিজেপি এভাবে আমাদের সঙ্গে লড়তে পারবে না। এজেন্সি, পুলিশ দিয়ে লড়াই হয় না। লড়াই হয় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সংগঠন দিয়ে। যত আমরা আক্রান্ত হব, তত আমরা মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেব।’‌

আরও পড়ুন:‌ ‘‌ক্যাগের কাজকে স্বাগত জানানো প্রশাসনের নৈতিক কর্তব্য’‌, পরামর্শ রাজ্যপালের

তবে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের পয়েন্ট অফ অর্ডার নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘‌গতকালের ঘটনার অভিযোগ আমি পেয়েছি। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতীয় সংগীত ওরা শুনতে পেয়েছে কী পাইনি সেটা ওদের ব্যাপার। অনেক সাংবাদিক ওখানে ছিল তারা তো শুনতে পেয়ে দাঁড়িয়েছিল। দূরত্ব তো খুব বেশি ছিল না। তবে যাইহোক না কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে আমি জানাব। আর নিয়ম মেনে পয়েন্ট অফ অর্ডার তুলতে হয়।’‌