জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার অর্থায়ন স্থগিত কয়েকটি দেশের

ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) অর্থায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে কয়েকটি দাতা দেশ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ-র কর্মীদের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও কানাডা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ইউএনআরডব্লিউএয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে তিনি বলেন, অংশীদারদের সঙ্গে কথা বলে তহবিল বিতরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করব।

ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থাটি গত শুক্রবার তাদের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা বলেছে। তারপর থেকেই এই সংস্থায় অর্থায়ন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রদপ্তরও এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইউএনআরডব্লিউএ স্টাফদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ শুনে যুক্তরাজ্য বিস্মিত হয়েছে। হামাসের ওই হামলাকে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন গতকাল শুক্রবার ঘোষণা করেন, অটোয়া এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলাকালে ইউএনআরডব্লিউএকে কোনও অতিরিক্ত তহবিল সরবরাহ স্থগিত রাখবে।

ইউএনআরডব্লিউএয়ের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলায় ইউএনআরডব্লিউএয়ের বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। সংস্থার মানবিক সহায়তা প্রদানের সক্ষমতা রক্ষা করতে জড়িত সদস্যদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল এবং তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এদিকে আজ সর্বশেষ জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থায় আর্থিক সহায়তা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেন, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নৃশংস হামলায় জড়িত থাকার জন্য ইউএনআরডব্লিউএয়ের অর্থায়ন স্থগিত করেছে ইতালি সরকার।

ওদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) বলেছে, তারা পূর্ণ তদন্তের ফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।