জামিনের আবেদন খারিজ, আরও ১০ দিন জেল হেফাজতে পার্থরা

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের খারিজ হয়ে গেল পার্থ-সহ ৬ জনের জামিনের আবেদন। অভিযুক্ত ৭ জনকেই ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে PMLA আদালত। এর ফলে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে পার্থদের।

এদিন জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মতো প্রভাবশালীকে জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে।

এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থ বলেন, ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না।’

দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। এদিন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কোনও জামিনের আবেদন করেননি।

আদালতে পার্থর মন্তব্য সম্পর্কে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, পার্থবাবু তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলে মনে হচ্ছে না। বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা উনিই বলতে পারবেন। কার নির্দেশে উনি টাকা তুলেছেন বলে দিলেই বোঝা যাবে এর মধ্যে আর কারা রয়েছে।