Influenza Virus: ইফ্লুয়েঞ্জায় সুরক্ষা দিতে এবার দেশে তৈরি ‘ফ্লু শট’ পেল সবুজ সংকেত, অপেক্ষার কাউন্টডাউন শুরু

মরশুমি ইনফ্লুেয়েঞ্জা ভাইরাসকে দমনে তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে ক্যাডিলা ফার্মাকিউটিক্যালস পেল বড় সাফল্য। ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে রেকমেন্ডেশনের সবুজ সংকেত দিয়েছে ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া’ বা ডিসিজিআই। দেশের মাটিতে তৈরি এই ফ্লু ভ্যাকসিন মরশুমি ভাইরাস থেকে রোগীদের উপকার দেবে বলেই বিশ্বাস। তবে এই বিষয়ে অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখনও বাকি। 

ইতিমধ্যেই কমিটির সামনে ওই ফার্মা সংস্থা থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যে রিপোর্টের তথ্যের ভিত্তিতে বেশ খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে কেন্দ্র। ডিসিজিআই জানিয়েছে এই ভ্যাকসিনকে সম্মতি দিতে তারা রেকমেন্ডেশন জানাচ্ছে। উল্লেখ্য, ভ্যাকসিনের তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরই এর অনুমোদনের প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় রেকমেন্ডেশন এসেছে। আপতত এই ভ্যাকসিনে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কী কী বিধি রয়েছে, তা জানতে চেয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। 

বর্তমানে ভারতের ইফ্লুয়েনঞ্জা শট-এর পরিস্থিতি কী?

 বর্তমানে দেশে শিশু ,বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে এমন রোগীদের বিদেশ থেকে আমদানি করা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য দেশে মরশুমি ইনফ্লুয়ে়ঞ্জা ভ্যাকসিনের শট দেশের সকল নাগরিককে দেওয়া হয়। তবে ভারতে সেই ভ্যাকসিন দেওযার ক্ষেত্রে বিশেষ একটি গোষ্ঠীকেই বেছে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলঠেন, আবার ভারতের মাটিতে তৈরি ক্যাডিলার নয়া ইনফ্য়ুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন মরশুমি জ্বর সর্দি থেকে বহুভাবে রক্ষা করতে পারবে। চিকিৎসক ডক্টর ববি ভালহোত্রা বলছেন, ‘আমরা সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন স্কুল পড়ুয়াদের দিয়ে থাকি, এছাড়াও যাঁদের কো মর্বিডিটি রয়েছে যাঁরা ৫০ বছরের উপরে রয়েছেন, তাঁদের দিয়ে থাকি। ’ তবে এবার থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘মূলত ২৬ ধরণের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রয়েছে। প্রতি বছর ইনফ্লুেঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন ধরন ঘুরপাক খায়। H1N1,H1N3 এর মতো ভাইরাস ঘুরে বেড়ায়। যাঁদের খুবই প্রয়োজন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিনের তাঁদেরই আমরা এই ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি। ’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি করা ভ্যাকসিনের দাম প্রতি শটে পড়ে ৭০০ থেকে ১২,০০ টাকা। তবে দেশের মাটিতে ভ্যাকসিন নির্মিত হলে তার দাম কম পড়বে।