Suvendu Adhikary: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি কিছু করে দেখাতে চায়। যদিও তাদের সংগঠন দুর্বল বলে দলের অন্দরেই চর্চা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হোক চায় বিজেপি। এই আর্জি নিয়ে আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই আবেদন করে আজ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে?‌ ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাতেই দামামা বেজে উঠেছে নির্বাচনের। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও ভোটের তারিখ ঘোষণা করেনি। তবে ধরে নেওয়া হচ্ছে ২০২৩ সালের শুরুতেই অথবা মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তাই এই নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করা হোক দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

কেন এমন মামলা করলেন শুভেন্দু?‌ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিস্তর অশান্তি হয়েছিল বলে দাবি করেন বিরোধী নেতারা। আর এই সন্ত্রাস করেই শাসকদল পঞ্চায়েত নির্বাচন জিতবে বলে অভিযোগ বিরোধী নেতাদের। তাই ভোট–লুঠ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় বিজেপি। এই ইস্যু তুলে আজ কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা না রাখতে পেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আবেদন করেছেন বিরোধী দলনেতা। আর এভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আদালতে জানান শুভেন্দুর আইনজীবী।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হয়েছিল। তাতে ফলাফল দেখা গিয়েছে। তারপর যতগুলি নির্বাচন থেকে শুরু করে উপনির্বাচন হয়েছে তাতে গোহারা হয়েছে বিজেপি। এবার ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার আর্জি নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান শুভেন্দুর আইনজীবী। আর রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একদিন সময় দেওয়ার আবেদন করা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করেন এবং মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে জানান।