Panchayat Election: গ্রাম পরিচালনাতেও কি নারীশক্তি?‌ পঞ্চায়েতে মহিলা সংরক্ষিত আসন বাড়ল

মহিলাদের সার্বিক ক্ষমতায়নকে বরাবর অগ্রাধিকার দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বাংলার হাজার হাজার গ্রাম পরিচালনায় এবার নারীশক্তি ব্যবহার হতে চলেছে বলে খবর। কারণ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য একটি সংরক্ষিত আসনের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জেনারেল ক্যাটেগরি বা জাতের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আর তাতেই ধরে নেওয়া হচ্ছে, এবার গ্রামবাংলার দায়িত্বে মহিলারা আরও ক্ষমতাসীন হবেন।

কেমন বেড়েছে মহিলাদের সংরক্ষিত আসন?‌ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৪৮,৬৫০টি আসনের মধ্যে জেনারেল ক্যাটেগরিতে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল ১৩,৪৭২ আসন। এবার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬২,৪০৪। যার মধ্যে জেনারেল ক্যাটেগরির মহিলাদের জন্য ১৬,৯২০ আসন সংরক্ষিত হয়েছে। সুতরাং পাঁচ বছরের ব্যবধানে এক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩,৪৪৮ আসন বেড়ে গেল। সেখানে জেনারেল ক্যাটেগরিতে পুরুষদের জন্য বরাদ্দ আসনের সংখ্যা ১৬,৭৪৮। এর ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জেনারেল ক্যাটেগরিতে পুরুষ জনপ্রতিনিধির সংখ্যার তুলনায় মহিলা জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ১৭২ জন বেশি হবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এবার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট ৬২ হাজার ৪০৪টি আসনের মধ্যে জেনারেল ক্যাটেগরির জন্য রয়েছে ৩৩ হাজার ৬৬৮ আসন। ২৮ হাজার ৭৩৬টি আসন সংরক্ষিত থাকছে এসসি, এসটি, ওবিসি শ্রেণিভুক্তদের জন্য। তফসিলি শ্রেণিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ১৫,৭৬৮। ২০১৮ সালে সংখ্যাটা ছিল ১২,৮৬৩। সুতরাং তফশিলি উপজাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ২৮২০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩,৫৬৭। ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৬,৭৬৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯,৩৯৬। পঞ্চায়েত সমিতিতে অবশ্য জেনারেল ক্যাটেগরিতে মহিলা আসনের তুলনায় পুরুষ আসন বেশি। এই স্তরে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে ২,৪৯৬টি আসন। পুরুষদের জন্য বরাদ্দ ২,৫০৭টি আসন। তবে জেলা পরিষদ স্তরেও এগিয়ে রয়েছেন মহিলারা। এই স্তরে মহিলারা লড়াই করবেন ২৪২টি আসনে। সেখানে পুরুষরা লড়বেন ২৩৮টি জেলা পরিষদ আসনে।

কেন এমনটা করা হল?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, ‘নারীবান্ধব গ্রাম’ গড়ার লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী অর্থবর্ষে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বাজেট তৈরির কাজ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে সমস্ত দেশ মিলে ১৭টি ‘স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্য’ স্থির করে। ২০৩০ সালের মধ্যে ওই লক্ষ্যগুলি পূরণ করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। তার মধ্যেই অন্যতম হল ‘নারীবান্ধব গ্রাম’ স্থাপন।