PM Awas Yojna: আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজের নাম কাটালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। একাধিক জায়গায় এই নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ সামনে এসেছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আম জনতা। এই পরিস্থিতির রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে মরিয়া বিজেপিও। তৃণমূলকে কথায় কথায় বিঁধছে গেরুয়া শিবির। এই আবহে এবাহে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী রত্না মহন্ত আবাস যোজনার তালিকা থেকে নিজের নাম কাটালেন।

অভিযোগ, পাকা বাড়ি থাকা সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা প্রভাব খাটিয়ে আবাস যোজনায় নিজেদের নাম তুলিয়েছেন। সেই নিয়ে সমীক্ষা চালকালীন বহু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে দাঁড়িয়ে রত্নার এই পদক্ষেপ নজর কেড়েছে অনেকের। যদিও এই নিয়ে বিজেপির পালটা কটাক্ষ, ভয় পেয়েই এই কাজ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

ঘটনা প্রসঙ্গে রত্না নিজের জানান, আগে যখন সমীক্ষা করা হয়েছিল, তখন তাঁর পাকা বাড়ি ছিল না। সেই অনুযায়ী এবার আবাস যোজনার তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘যখন ছবি তোলা হয়েছিল তখন আমার মাটির বাড়ি ছিল। খুবই খারাপ অবস্থা ছিল বাড়ির। এখন তালিকায় নাম এসেছে। কিন্তু, এখন সকলের সাহায্যে আমার একটা পাকা বাড়ি হয়েছে। দলের অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। এই কারণেই আমি নিজে থেকে তালিকা থেকে আমার নাম কেটে বাদ দিয়েছি। এই টাকা কোনও দুঃস্থ মানুষের উপকারে লাগবে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাহাঙ্গীর শেখের পরিবার সদস্যদের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় থাকায় অনেক বিতর্ক হয়েছিল। প্রায় রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি থাকা সত্ত্বেও জাহাঙ্গীরের পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম ছিল তালিকায়। শেষে বিতর্কের আবহে বাদ পড়েছিল সেই নামগুলি। এই আবহে এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতেই ওরা ভয় পেয়েছে। চাপে পড়েই এখন তৃণমূলের নেতারা নিজেদের নাম কাটাতে চাইছেন।’