Siddiqullah Chowdhury: ‘এখন জবরদখলের জমানা’, ‘সত্যি কথা সত্য ভাবে’ বললেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা

একাধিক সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করার জন্য পরিচিতি রয়েছে রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এই সিদ্দিকুল্লার মুখেই এবার ‘সত্যি কথা’ শোনা গেল ‘সত্য ভাবে’। নদিয়া বইমেলার উদ্বোধনে গিয়ে মন্ত্রী বললেন, ‘এখন জবরদখলের জমানা’। প্রসঙ্গত, শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রাঙ্গনে সোমবার থেকে শুরু হল ৩৮তম নদিয়া বইমেলা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। এতদিন এই বইমেলা হত কৃষ্ণনগরে। এই প্রথম এই বইমেলা হচ্ছে শান্তিপুরে। সেখানে গিয়ে ‘জবরদখল’ নিয়ে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘এর আগে শান্তিপুরের ইতিহাসে কোনও বইমেলা কোনও লাইব্রেরির ক্যাম্পাসে হয়নি। এই প্রথম শান্তিপুরে হচ্ছে। আপনারা এই লাইব্রেরির মাঠ যে ৭৫ বছর ধরে জবরদখল হতে দেননি তার জন্য স্যালুট জানাই। এখন তো জবরদখলের সময়। সেই জবরদখলকে হটিয়ে শান্তিপুরের ঐতিহ্য যে ধরে রেখেছেন তার জন্য স্যালুট। আমি খুশি। সত্য কথা সত্য ভাবে বলছি। অস্বীকার করা তো যাবে না। সত্যিই তো এখন জবরদখলের জমানা। তারপরেও যে মাঠ রয়েছে তাতে আমি খুশি।’ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর পাশাপাশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেই এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই রাজনৈতিক চাপাউতোর শুরু হয়েছে।

এদিকে সোমবার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে মন্ত্রী আশ্বাস দেন, যে সমস্ত গ্রন্থাগারগুলিতে লাইব্রেরিয়ানের অভাব রয়েছে, আগামীতে দ্রুত সেই সমস্ত শূন্যপদ পূরণ হবে। উল্লেখ্য, বইমেলায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৮০টি স্টল বসেছে। বইমেলা উদ্বোধনের আগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে পাবলিক লাইব্রেরী কর্তৃপক্ষ। শোভাযাত্রায় শান্তিপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রীকে অংশগ্রহণ করে।