Suvendu Adhikari on Lalan Sheikh’s Death: ‘সবটাই শোনা কথা’, লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা উস্কে বিস্ফোরক শুভেন্দু

বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে কয়েকদিন আগেই হেফাজতে নিয়েছিল সিবিআই। সেই সিবিআই হেফাজতেই লালন শেখের রহস্যজনক মৃত্য হল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, লালন আত্মহত্যা করেছে। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ। তবে এই মৃত্যু নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বীরভূমের পুলিশ সুপার নদেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, লালনের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। এদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, লালনের মৃত্যুর নেপথ্যে পুলিশের হাত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিত।

সোমবার হাজরার সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লালনের মৃত্যু নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘লালন শেখের নিরাপত্তায় ছিল রাজ্য পুলিশ, তাই পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যা সত্য, তা সামনে আসা উচিত। যেটুকু আমি শুনেছি, সিবিআই আধিকারিকেরা সেই সময় আদালতে গিয়েছিলেন। তবে, সবটাই শোনা।’ এদিকে লালনের মৃত্যু নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘দেখতে হবে, লালনকে কোথায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কাউকে বাঁচাতে হল কি না সেটাও দেখা উচিত।’

প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পর আদালতের নির্দেশে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন লালন শেখ। গত ৪ ডিসেম্বর গ্রেফতারির পর থেকে সিবিআই হেফাজতে ছিল লালন। গত ২১ মার্চ বগটুই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের পর গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। তাতে মৃত্যু হয় ৯ জনের। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। এহেন লালনের মৃত্যু প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের দাবি, আত্মঘাতী হয়েছে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। এদিকে মৃতের পরিবারের পালটা দাবি, খুন করা হয়েছে লালন শেখকে। এই ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, হেফাজতে থাকাকালীন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাত হয়েছে লালন শেখ। তবে তার পা মাটিতে ঠেকে ছিল। এই আবহে লালনের দিদি সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, লালনকে এত মার মেরেছে যে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছিল না।