সাকেতকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধিদল

তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার তৃণমূলের পাঁচজন সাংসদের প্রতিনিধিদল দেখা করলেন মুখ্য়নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে। তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, আমাদের জাতীয় মুখপাত্রকে হেনস্থা আর অত্যাচারের প্রতিবাদে আমাদের প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছিল। তৃণমূলের দাবি গোখলেকে মৌরবির ঘটনায় পোস্ট করা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

এদিন প্রতিনিধিদলে ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্য়ান বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দু শেখর রায়, মৌসম নুর ছিলেন। সৌগত রায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি রিপোর্ট তলব চাইবেন ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গত সপ্তাহে তিনদিনে দুবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়।

তিনি জানিয়েছেন, তাকে ভুল ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তিনি যা টুইট করেছিলেন তার সঙ্গে এটা সম্পর্কযুক্ত নয়। এটা একটি হেনস্থার ঘটনা।

গত ৬ ডিসেম্বর মৌরবি ব্রিজের ভেঙে পড়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরিদর্শন নিয়ে একটি ভুয়ো খবরকে সামনে এনে তিনি টুইট করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই টুইটের জেরে তাকে দুদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। এরপর ৮ ডিসেম্বর তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার ফের তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর সঙ্গেই সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা যখন সাম্প্রদায়িকতার মদত দেন, ও ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছিলেন গুজরাট নির্বাচনের সময়, পরেশ রাওয়াল যখন বাঙালির বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ান গুজরাট ভোটের প্রচারের সময়,তখন তাদের বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ নেওয়া হয় না।

বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, মানুষ অম্বিকেশ মহাপাত্রের কথা ভুলে যাননি। তৃণমূল প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়়ানোর ছাড়পত্র চাইছে।