বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Alert in North Bengal: তাওয়াঙে ভারত-চিন সংঘর্ষের জেরে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ উত্তরবঙ্গে, নজরদারি অসমেও
Updated: 14 Dec 2022, 09:08 AM IST Abhijit Chowdhury
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের সময় ভারতের থেকে কড়া জব… more
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের সময় ভারতের থেকে কড়া জবাব পেয়েছিল চিন। তবে তা থেকে শিক্ষা না নিয়ে অরুণাচলের তাওয়াঙে ফের আগ্রাসী হয়ে ওঠে চিন। এর যথাযথ জবাবও পেয়েছে তারা। গত সপ্তাহের সংঘর্ষে সীমান্তে থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে এখনও। সংঘর্ষের পরই আকাশপথে টহলদারি চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। শুধু অসম-অরুণাচল নয়, উত্তরবঙ্গেও জারি রয়েছে সতর্কতা।
1/5জানা গিয়েছে, অরুণাচলে ৯ ডিসেম্বর সংঘাত বেঁধেছিল ভারত ও চিন সেনার। ইয়াংৎসে এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়েছিল। মূলত চিনের দাবি ছিল, ইয়াংৎসের ভারতীয় সেনা ছাউনি সরিয়ে দিতে হবে। আর তার জন্য ৩০০ চিনা সেনা নিয়ে তারা অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে আক্রমণ করে। তবে কেন তাওয়াঙে নজর পড়েছে চিনের? (ANI)2/5এদিকে সংঘাতের পর দুই দেশই বলছে, বর্তমানে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে ভারত সতর্কতা অবলম্বন করে রয়েছে। এমনকী চিন যখন ৩০০ জওয়ান নিয়ে ‘হামলা’ চালিয়েছিল। তখনও প্রস্তুত ছিল ভারত। সূত্রের খবর, ভারতের প্রস্তুতিতে ‘অবাক’ হয়েছিল পিএলএ। (ANI)3/5জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ থেকে ১৬ ডিসেম্বর এই নো ফ্লায়িং জোন ঘোষণা করা হয়েছে অসম ও অরুণাচল সীমান্ত লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায়। রাফাল, সুখই ৩০ এবং তেজস লাইটের মতো যুদ্ধবিমান এই সময়কালে এই এলাকায় টহল দিতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ির হাসিমারা থেকে তেজপুর বিমান ঘাঁটিতে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান। এরই মাঝে তেজপুর, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। (ANI)4/5তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতীয় সেনার জন্য কৌশলগত দিক থেকে বেশ প্রাসঙ্গিক। কারণ তাওয়াং থেকে ভূটান সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত, আর চাম্বা থেকে নেপাল তিব্বত সীমান্তে নজরদারি চালায় ভারত। এদিকে, চিন দাবি করে অরুণাচলের একটা বড় অংশ তাদের। অরুণাচলকে ‘দক্ষিণ তিব্বত’ আখ্যা দেয় তারা। এই পরিস্থিতিতে চিনের নজর ইয়াংৎসে ঘাঁটির ওপর। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) (ANI)5/5লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত-চিন। বিগত ৩০ মাস ধরে এই এক পরিস্থিতি সেখানে। এবার অরুণাচলেও সংঘাত বাঁধল দুই দেশের। সংঘাতে ভারতীয় সেনার তরফে কেউই গুরুতর আহত হননি। তবে জানা গিয়েছে, গালওয়ানের ধাঁচেই কাঁটা লাগানো এক বিশেষ অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে চিনের সেনা হামলা চালিয়েছিল ইয়াংৎসেতে। তবে চিনের এই হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল ভারত। এই আবহে স্থিতাবস্থা বদল হয়নি বলে সংসদে জানিয়েছেন রাজনাথ সিং। ভবিষ্যতেও যাতে স্থিতাবস্থা বজায় থাকে, তার জন্য সর্বদা সজাগ সেনা। (ANI)