Fake CBI raid: ভবানীপুরে ভুয়ো CBI হানা কাণ্ডে ধৃত ২, ব্যবসায়ীর পরিচিতদের জড়িত থাকার সন্দেহ

ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে ভবানীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠপাটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে হরিদেবপুর এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হল রঞ্জন চৌধুরী এবং সন্তু মোল্লা। তারা দুজনেই হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তাদের আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

ভবানীপুরের ব্যবসায়ী সুরেশ ওয়াধওয়ার ফ্ল্যাটে ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে হানা দিয়ে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকার গয়না লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ১/৬ রূপচাঁদ মুর্খাজি লেনের আবাসনে হানা দেয় প্রতারকরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুষ্কৃতীরা অভিযান চালানোর জন্য তিনটি গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন প্রায়ই ভবানীপুর এলাকায় যাতায়াত করত। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি সুরেশ ওয়াধওয়ার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই জন্য ওই বাড়িতে এত পরিমাণ নগদ টাকা এবং গয়না রাখা ছিল। সেক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীর পূর্ব পরিচিত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীর কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে লালবাজারের গোয়েন্দারা।

জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুধওয়ালা যখন ওই বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন ঠিক সেই সময়ে বিনা বাধায় বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে ৮ থেকে ৯ জন দুষ্কৃতী। বাড়িতে একটি ল্যাব্রাডার প্রজাতির কুকুরও রয়েছে। তবে কুকুরটিকে ঘেউ ঘেউ করতে শোনা যায়নি। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন কুকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলেছিল। অভিযানে ব্যবহৃত তিনটি গাড়ির মধ্যে একটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ধৃত রঞ্জন নিজেকে দিল্লি থেকে আসা সিবিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী নামে এক দুষ্কৃতী। তিনি টলিউডের সঙ্গে যুক্ত বলে জন গিয়েছে। এমনকী একটি বাংলা ছবিতেও নাকি বিনিয়োগ ওই দুষ্কৃতী বিনিয়োগ করেছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দুষ্কৃতী ঘন ঘন ভবানীপুরে যেত। ব্যবসায়ীর বাড়িতে ৯০ মিনিটের অপারেশন চলাকালীন পরিবারের সদস্যদেরকে শুয়ে থাকতে বলা হয়েছিল। তারপরেই দুষ্কৃতীরা নগদ টাকা ও গহনা নিয়ে চম্পট দেয়।