Visva Bharati University: মধ্যরাতেও অশান্ত বিশ্বভারতী, ভেঙে ফেলা হল পড়ুয়াদের মঞ্চ, ছাত্রীদের ধর্ষণের হুমকি

মঙ্গলবার দিনভর অশান্ত থাকার পর মধ্যরাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে অবস্থান মঞ্চ করেছিলেন পড়ুয়ারা। মধ্যরাতে সেই মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মত্ত অবস্থায় নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পড়ুয়াদের দাবি, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতোর উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, পাল্টা তিনি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের মারামারি, ধাক্কাধাক্কি এবং তুমুল হট্টগোলে অশান্ত হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন। টানা ২১ দিন পর নিজের বাসভবন থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উপাচার্য। নিরাপত্তারক্ষীদের ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বের হন উপাচার্য। সেখানে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। পড়ুয়ারা উপাচার্যকে ঘিরে স্লোগান, বিক্ষোভ করেন। সেখানে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকেও বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। তারই মধ্যে উপাচার্যকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছোড়ার অভিযোগ উঠেছিল।

রাতেও শান্ত হয়নি বিশ্বভারতী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, অবস্থান চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীরা মত্ত অবস্থায় সেখানে আসে এবং তাঁদের মারধর করে, মঞ্চ ভেঙে দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পাশাপাশি ছাত্রীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেয়। অন্যদিকে, অশোক মাহাতো দাবি করেছেন, পড়ুয়ারা রাতে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের বাড়িতে ইট ছুঁড়েছে। সেই কারণে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের অবস্থান মঞ্চ ভেঙে ফেলেছেন। যদিও ধর্ষণের হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে পড়ুয়াদের পাল্টা অভিযোগ, নিরাপত্তারক্ষীরা আচমকায় তাদের উপর হামলা চালায়। সব মিলিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি।