Amit-Mamata meeting: শনিবার মুখোমুখি অমিত-মমতা, কী দাবি তুলবেন মুখ্যমন্ত্রী? আলাদা করে কী বৈঠক হবে?

পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে শনিবার নবান্নে মুখোমুখী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু মমতা নন, এই বৈঠকে পর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। নবান্ন সভাগৃহে এই বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা তুঙ্গে। প্রশ্ন হল, এই বৈঠকে কী দাবি রাখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আলাদা করে কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা থাকছে?

মূলত সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই পর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়। তাই এই বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা–এই বিষয়গুলিই মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

এই বৈঠকের আগে গত সোমবার স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন রাজ্য মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্র সচিব মূলত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোর দিয়ে দিয়েছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৫৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া কাজ শুরু হয়েছে। ভাল্লা আগামী বছরের মার্চ মাধ্যে এই বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ করার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে অনুরোধ জানিয়েছেন। বেড়া দেওয়ার জন্য এখন পর্যন্ত ১৮৬ কিলোমিটার অবধি জমি মিলেছে। বাকি ৭০ কিলোমিটারের জমি এখনও পাওয়া যায়নি। এই জমি যাতে দ্রুত পাওয়া যায় তার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।

বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু দাবি কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি বিএসএফের কাজের সীমানা বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করা হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে আধিকার দেওয়া হয়েছে গ্রেফতারি ও বাজেয়াপ্ত করার। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দলের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে। এই এক্তিয়ার বৃদ্ধির পরেও যে চোরাচালান ও গরুপাচার যে অব্যাহত তা তুলে ধরতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

যদিও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দাবি করেছেন, বিএসএফের নজরদারিতে বাংলাদেশে গরু পাচার অনেকটাই কমেছে। সম্প্রতি তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বিএসএফ আশি হাজার গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই জায়গায় ২০২১-২২ বর্ষে সেই সংখ্যা সাত হাজারে চলে এসেছে।’ অর্থাৎ সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সক্রিয়াতেই কমানো গিয়েছে গরু পাচার। এ ছাড়া সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত খরচে বকেয়া অর্থও দাবি করতে পারেন বৈঠকে।

এই বৈঠকের পর কী আলাদা করে মমতা-অমিত শাহ বৈঠক হতে পারে? সূত্রের খবর, নবান্নের বৈঠক সেরে বিএসএফের একটি অনুষ্ঠানে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার ফাঁকে কিছুটা সময় আলাদা করে দুজনের মধ্যে কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।