Calcutta High Court: শিক্ষক বদলি নিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট, রাজ্যকে নীতি তৈরি করার পরামর্শ

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে শিক্ষকরা শহর বা শহরতলী এলাকার দিকে বেশি বদলি হতে চাইছেন। যার ফলে গ্রামের স্কুলগুলির শিক্ষকের অনুপাত ছাত্রদের হারে খুবই কম। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নীতি নির্ধারণ করার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বদলি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘শিক্ষকরা যদি এমন করেন পড়ুয়াদের কী হবে? এটা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’

বাড়ির কাছে বদলি চেয়ে এক স্কুল শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত অনেক মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র বাড়ির কাছে আসার জন্যই শিক্ষকরা বদলি চাইছেন। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারও তাঁদের বদলি দিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেকে বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করছেন। এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির মন্তব্য, ‘শিক্ষকরা যদি এভাবে বদলি নেন তাহলে পড়ুয়াদের কী হবে? এই বদলি নীতি বন্ধ করা প্রয়োজন।’ তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘একটি মামলায় শুনলাম একজন শিক্ষক বলে দিচ্ছেন তিনি কোথায় বদলি হতে চান। এটা সত্যিই চিন্তার বিষয়।’ কলকাতা হাইকোর্ট সুত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা এবং শহরতলীর ১১৫ টি স্কুলে ৫০০ জন শিক্ষক রয়েছে। অথচ গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অনুপাত খুবই কম। যার ফলে পড়ুয়ার সংখ্যাও অনেক কম। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। তখন বিচারপতি নতুন শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘ছাত্র সংখ্যা যেহেতু কম তাহলে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা কী?’ রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, ‘রাজ্য চাই সব সময় ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে। বদলির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’ বিচারপতি বলেন, ‘এটা নিশ্চয়ই করুন। না হলে সব শিক্ষক শহরে চলে গেলে গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে।’