Lalan Sekh: লালনের দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারকে, গ্রামে যেতে পারেন সিবিআই কর্তা অজয়

বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যুর ঘটনায় অনেক টানাপোড়ানোর পর তাঁর দেহ নিতে স্বীকার করে পরিবার। আজ বুধবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল লালনের দেহ। গ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লালনের মৃতদেহ। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, ঘটনার পরেই কলকাতায় এসেছেন সিবিআইয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড অজয় ভাটনগর। সূত্রের খবর, তিনি লালনের গ্রামে যেতে পারেন।

সোমবার সিবিআই হেফাজতের মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। সেই ঘটনার দুদিন কেটে গেছে। এখনও থমথমে রয়েছে লালনের গ্রাম। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা তাঁর দেহ নিতে অস্বীকার করলেও পরে অবশ্য দেহ নিতে চেয়েছে পরিবার। আজ সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে লালনের দেহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিপিও। করা নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লালনের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী যে সমস্ত সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে গরুরপাচার কাণ্ডে তদন্তরত সিবিআইয়ের এক অফিসার। তিনি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিলেন। ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিনভর বীরভূমের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের বাইরে চলেছে বিক্ষোভ। নতুন করে অশান্তির আশঙ্কায় সেখানে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

লালনের পরিবারের দাবি মেনে তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। বুধবার রামপুরহাট থানা থেকে সিআইডির আধিকারিকরা কেস ডায়েরি সংগ্রহ করবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের পাশাপাশি লালনের গ্রামে আজ যাবেন তাঁরা। পাশাপাশি সিবিআই কর্তাও আজ লালনের গ্রামে যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর। যদিও এ বিষয়ে সিবিআই তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। লালনের দেহ নেওয়ার সময় হাসপাতালেও যাতে কোনও ভাবেই বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সে জন্য প্রস্তুত পুলিশ।