ঘাড় মটকে টেনে নিয়ে গেল জঙ্গলে, ওখানে এক বছরে ৫০জনের মৃত্যু বাঘের হানায়

প্রদীপ কুমার মৈত্র

নাগপুরের চন্দ্রপুর জেলায় মানুষ ও পশুর মধ্য়ে সংঘাত একেবারে চরমে উঠেছে। গত তিনদিনে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বাঘের হামলায়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ১৫ পর্যন্ত চন্দ্রপুর জেলায় অন্তত ৫০জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। সূত্রের খবর, কাছের তাদোবা টাইগার রিজার্ভ। সেখান থেকেই কোনও ভাবে বাঘ বেরিয়ে পড়ে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই বাঘের হানায় একের পর এক ব্যক্তির মৃত্যু। মৃতের নাম স্বরূপা প্রশান্ত ইয়েলতিওয়ার, বাবুরাও কাম্বলি ও কৈলাশ গেড়েকার।

সূত্রের খবর, স্বরূপা জমিতে তুলো তুলছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই বাঘের হানা। এদিকে স্বরূপার চিৎকারে অন্যান্য় শ্রমিকরা ছুটে আসে। এরপর তার দেহটি ফেলে রেখে পালায় বাঘটি। মনে করা হচ্ছে কাছের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল বাঘটি। এরপর আচমকা হামলা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।

অন্যদিকে রুদ্রপুরের বাসিন্দা বাবুরাওকে সকালে জমি থেকে ফিরছিলেন। সেই সময় আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘ। ঘাড় মটকে দেহটাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল। এরপর গ্রামবাসীরা তা দেখে ফেলে চিৎকার শুরু করে দেন। তখনই দেহটি ফেলে পালায় বাঘটি।

মঙ্গলবার কৈলাশ নামে ওই ব্যক্তি জমিতে কাজ করছিলেন। সেই সময় বাঘটি ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর তার দেহটি বাঘটি টেনে নিয়ে যায় কাছের জঙ্গলে। এদিকে রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে দেন। শেষ পর্যন্ত কাছের জঙ্গল থেকে দেহটি পাওয়া যায়।

চিফ কনসার্ভেটর অফ ফরেস্ট প্রকাশ লঙ্কার জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৫০টি মানুষ ও পশুর সংঘাতের ঘটনা হয়েছে । চন্দ্রপুর ফরেস্ট ডিভিশন এলাকায় ৩৯জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদোবা আন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ এলাকায় মৃত্য়ু হয়েছে ১১জনের।